নরসিংদী: আধিপত্য ও মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নরসংদীর চরাঞ্চল অনন্তপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। গুরুতর আহত ৫ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ আলী (৩০) অন্তরামপুর গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে। সে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সমর্থক।
আজ ( মঙ্গলবার) সকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছেন, এলাকার আধিপত্য, পূর্ব-শত্রুতা ও মামলার জের ধরে সদর উপজেলার চরাঞ্চল চরদীগলদী ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নেওয়াজ আলী মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্ধ চলে আসছিল। দ্বন্ধের জের ধরে গত কয়েক মাসে উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকে বিএনপি সমর্থিতরা গ্রাম ছাড়া হয়ে পড়ে।
কোরবানীর ঈদকে ঘিরে নেওয়াজ আলী মেম্বারের সমর্থকরা গ্রামে ফিরে। এই নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের সমর্থক মোহাম্মদ মারা যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার রূপ নেয়। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের পার্শ^বর্তী জেলার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাধবদী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল কালাম বলেন, সংঘর্ষে একজন নিহতসহ বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে। এলাকার আধিপত্য,পূর্ব-শত্রুতা ও মামলার জের ধরে আলমগীর হোসেনের ও নেওয়াজ আলী মেম্বারের মধ্যে দন্ধ চলে আসছিল। এরই জেরে এ ঘটনা।