ঢাকা: ঢাকার শাহবাগ থানার মামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ১০ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১০ জন শিক্ষার্থীর জামিনের কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। তাই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারুক হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইসলাম (এমবিএ) শেষ বর্ষের ছাত্র রাশেদ খান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (সমাজবিজ্ঞান) ছাত্র মশিউর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের গাজীপুর ভাউয়াল কলেজের ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র জসিমউদ্দিন আকাশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শেষ বর্ষের ছাত্র সোহেল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তারিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র মাসুদ সরদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাইদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ চতর্থ বর্ষের ছাত্র আতিকুর রহমান।
গতকাল সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া ১৮ জন শিক্ষার্থী জামিন পান। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ১২ শিক্ষার্থীকে জামিন দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
রোববার ঢাকার আদালত থেকে জামিন পান আরও ৩২ জন শিক্ষার্থীসহ ৩৯ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের এসব মামলা হয়েছিল রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা থানায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ছাড়া বাকি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া, সরকারি কাজে বাধা এবং নাশকতা অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়।