খুব সহজে সস্তায় তৈরি হওয়ায় দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে জাল নোট। তবে ঈদ উপলক্ষে এ নোটের প্রভাব বেড়েছে।
মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করছে প্রতারক চক্র। শুক্রবার রাতে রাজধানীর লালবাগ থেকে ৭৫ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এরপরই বেরিয়ে আসে মূল্য তথ্য।
জানা যায়, মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করে তা পাইকারের কাছে বিক্রি হয় ১৪-১৫ হাজার টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকায়। খুচরা বিক্রেতাদের থেকে মাঠ পর্যায়ের ক্রেতারা আরও বেশি দামে কিনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাউসার হামিদ, আলাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মো. মোস্তফা, মো. সোহেল, মো. মজিবর রহমান বাদশা, মোঃ সজিব হোসেন ও মোছাঃ সালেহা বেগম। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ৭৫ লাখ বাংলাদেশি জাল টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, টাকা তৈরির বিভিন্ন কাগজ, প্রিন্টার কালি, স্কিন বোর্ড, জাল টাকায় ব্যবহৃত ফয়েল পেপার উদ্ধার করা হয়।
আবদুল বাতেন বলেন, জাল টাকা তৈরির মূলহোতা কাউসার হামিদ তার অন্যতম সহযোগী আলাউদ্দিনসহ লালবাগের ৪নং এমসি রায় লেনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির ব্যবসা করে আসছিল। আসামি সজিব ও মোছা. সালেহা জাল টাকা তৈরির কাগজে জলছাপ নিরাপত্তা সুতা স্থাপন করে। আসামি কাউসার হামিদ তার বড় ভাইয়ের সাথে জাল টাকা তৈরি করতো। পরবর্তীতে ২০০৪ সাল থেকে নিজেই জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি কিনে ব্যবসা করতো। ইতোপূর্বে সে একাধিকবার জাল টাকা ও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ গ্রেফতার হয়েছে।