টঙ্গী: গাজীপুরের টঙ্গীর ন্যাশনাল টিউবস কারখানা ও থানা রোড এলাকায় বসেছে বিশাল পশুর হাট। সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা ও ২ কিরৈামিটার প্রশস্ত এ হাটে দেশি গরু ছাগল ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে পাটনাই,হরিয়ানা , আজমিরী,গুজরাটি ও হোম পাকিস্তানি জাতের গরু। এছাড়া উঠেছে উট ও মহিষ। আর মাত্র ৪ দিন পরই কোরবানির ঈদ।
রাজধানীর ও তার আশপাশে এলাকার বৃহত্তর পশুর হাট হলো গাজীপুরের টঙ্গীতে। এরই মধ্যে হাটে গরু এবং ছাগলের ব্যাপক আমদানি করা হয়েছে। ক্রেতারা গরুর এমন সমাহার দেখে বেজায় খুশি। বিক্রেতারা বলছেন গো খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার লোকশানে পরবে কৃষক বা খামারিরা।আয়োজকদের দাবি, কোরবানীর পশুর হাটটি আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় হাট।
শনিবার সকালে টঙ্গীর বিশাল এ কোরবানীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে বিপুল পরিমান দেশী গরু ও ছাগলের পাশাপাশি পাটনাই,হরিআনা , আজমিরী,গুজরাটি ও হোম পাকিস্তানি জাতের বিশাল বড় ধরনের গরু আমদানি হয়েছে। কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, গরু ও ছাগলের দাম মোটামুটি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। আসিলও তেমন বেশি নয়। বিক্রেতারা বলছেন টঙ্গীর এ বাজারে আমাদের নিরাপত্তা ব্যাপক রয়েছে এবং থাকা খাওয়ার ভাল পরিবেশ আছে। বিক্রেতারা আরো জানান, কোন প্রকার মোটাতাজা করন ঔষধ ছাড়াই ঘাস, ভাতের মার, চালের গুরো, আবার কেউ কেউ ঘাস চাষ করে তারা গরুকে খাইয়েছেন। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার গরুর দাম একটু বেশি বলে মনে করছেন তারা। টাঙ্গাইলের খামারি জাহাঙ্গীর জানান, প্রতিবছরই টঙ্গীর এ হাটে কোরবানীর গরু নিয়ে আসি। এবছর শুক্রবার রাতে এক ট্রাক গরু নিয়ে আসি। বেচা ভালই হলো এবং দামও ভাল পেয়েছি। আজ শনিবার আরো গরু আসবে। বাজারে গরুর চাহিদা রয়েছে। এবার এ হাটে বেচা কেনা জমবে বলে মনে করেন তিনি । হিমারদিঘী এলাকার মতি মিয়া, বলেন তিনি গরু কিনতে এসেছেন এবং পছন্দও করেছেন। দামদর করছেন,তবে দাম অন্যবারের চেয়ে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে বলে মনে হলো। তবে সিটি কর্পোরেশন বাজারটি কয়েকাট রাস্তার উপর করায় মানুষের যাতায়াতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানান পথচারীরা।
হাট কর্তৃপক্ষ বা ইজারাদার জানিয়েছেন, এবার কোরবানির হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে । পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,টঙ্গীর থানা রোড ও চেরাগ আলী মার্কেট এলাকার অস্থায়ি কোরবানীর পশুর হাটে রাজধানী উত্তরাসহ আশপাশ এলাকার ক্রেতারাই বেশি আসে। কারন এখানে দেশিসহ বিভিন্ন দেশীয় জাতের বড় এবং ভালো মানের গরু পাওয়া যায়। পাশাপাশি এ হাটে হাসিলও কম নেয়ার খ্যাতি রয়েছে। হাট কতৃপক্ষ বলছে রাস্তায় গরুর হাট হলেও জনগনের চলাচলে কোন সমস্যা হচ্ছেনা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নুরু বলেন, কোরবানীর পশুর বাজারটি আমার ওয়ার্ডে হওয়ায় সার্বক্ষনিক এর তদারকি করছেন তিনি। যাতে কোন প্রকার বিশঙ্খলা না ঘটে। ব্যবসায়িরা যাতে নিরাপদে নির্বিঘেœ নিজ নিজ গন্ত্যেবে ফিরতে।