নীলফামারী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যায়। আর এর প্রতিবাদে এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন জলঢাকার সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। নীলফামারী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম মোস্তফার অভিযোগ, যুবলীগ নেতা ওয়াহেদ বাহাদুর তাকে ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত’ করেছেন। গোলাম মোস্তফা ও তার সমর্থকরা জলঢাকা শহরের জিরো পয়েন্টে সড়কের উপর অবস্থান নেন বুধবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
এ সময় জলঢাকা রংপুর, নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা ও পঞ্চগড় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের আশ্বাসে গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা রাস্তা ছাড়লে ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমীন জানান এমপি ও তার সমর্থকরা রাস্তায় অবস্থান নেয়ার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জলঢাকা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের উপজেলা কমিটি। উম্মুক্ত আলোচনায় এমপির বক্তব্যের সময় শুরু হয় হট্টগোল।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা জানান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর লোকজন নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে সংসদ সদস্যকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ শুরু করেন। এ সময় এমপির সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে আলোচনা সভা বন্ধ করে দেয়। অনুষ্ঠান পন্ড হয়ে যাওয়ার পর যুবলীগ নেতা ওয়াহেদ বাহাদুরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জলঢাকা জিরো পয়েন্টে গিয়ে অবস্থান নেন এমপি ও তার সমর্থকরা। আশপাশে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ফোন করে এমপি গোলাম মোস্তফাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে গোলাম মোস্তফা তার সমর্থকদের নিয়ে সরে যান।