তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অপরাজনীতির শুরু হয়েছিল। সেই অপরাজনীতির বাহন হিসেবে এখন কাজ করছে বিএনপি, জামায়ত ও খালেদা।
এদেরকে মুসলিম লীগের মতো বাংলার রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব লাউঞ্জে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রেস ইউস্টিটিউটের পরিচালক শাহ আলমগীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিউজের সভাপতি আবু জাফর সূর্য্য। সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চায়নি তাদের বানানো চশমা দিয়ে এই দেশকে দেখলে চলবে না। একাত্তরের চশমা দিয়ে দেখতে হবে। একাত্তরের চশমায় বাংলাদেশের প্রকৃত রূপ আছে। এখানেই আমাদের আসল শক্তি। এই সত্যটা বুঝতে হবে।
এর জন্য অপরাজনীতির বাহকদের এদেশের রাজনীতি থেকে মুছে ফেলতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। হত্যার মাধ্যমে শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের বিষয় ছিল না। এর পেছনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র ছিল। তারা সাময়িকভাবে সফল হয়েছিল, কিন্তু সত্য সাময়িক নয়, সত্য চিরন্তন। তাই আমাদের মাঝে আবার সত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পথ চলছি।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শুধু ক্ষমতার পটপরিবর্তনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়নি। কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা একত্র হয়ে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে হত্যা করে ফেলেছেন বিষয়টা এরকম ছিল না। তাদের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া। আজকের বাংলাদেশ বলে তাদের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
শাহ আলমগীর বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দর্শন বদলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অভিন্ন। তাই হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যায়নি। আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে। এখনো সেই ষড়যন্ত্র থেমে নেই। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ সভাপতি ইশতিয়াক রেজা, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলী শুভ, ডিউজের যুগ্মসম্পাদক আখতারুজ্জামান,প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা।