ঢাকা: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নোংরামীর বাইরে যাকে রাখা উচিত, তিনি বঙ্গবন্ধু।। আমি রাজনিতি বুজি না বুজতে চাইও না।। আমার নিজের দায়বদ্দতা থেকে তুলে এনেছি মানুষটার মূল্য বাইরের মানুষ কতটা দিয়েছেন!!
.
১।”আমি হিমালয় দেখিনি, বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।“ – ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
২।আওয়ামিলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মত তেজী এবং গতিশীল নেতা আগামী বিশ বছরের মধ্যে এশিয়া মহাদেশে আর পাওয়া যাবে না।—- হেনরি কিসিঞ্জার।
৩।শেখ মুজিবকে চতুর্দশ লুই য়ের সাথে তুলনা করা যায়। জনগন তার কাছে এত প্রিয় ছিল যে লুই ইয়ের মত তিনি এ দাবী করতে পারেন আমি ই রাষ্ট্র।— পশ্চিম জার্মানী পত্রিকা।
৪।শেখ মুজিব নিহত হলেন তার নিজেরই সেনাবাহিনীর হাতে অথচ তাকে হত্যা করতে পাকিস্তানীরা সংকোচবোধ করেছে। বিবিসি-১৫ আগস্ট ১৯৭৫।
৫।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সমাজতন্ত্র প্রতীষ্ঠার সংগ্রামের প্রথম শহীদ। তাই তিনি অমর। –সাদ্দাম হোসেন।
৬।শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারাল তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হৃদয়ের বন্ধুকে।—ফিদেল কাস্ট্রো।
৭।আপোষহীন সংগ্রামী নেতৃত্ব আর কুসুম কোমল হৃদয় ছিল মুজিব চরিত্রের বৈশিষ্ঠ্য—ইয়াসির আরাফাত।
৮।মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।— নোবেল বিজয়ী উইলিবান্ট।
৯।শেখ মুজিবুর রহমান ভিয়েতনামী জনগনকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।— কেনেথা কাউণ্ডা।
১০।শেখ মুজিব নিহত হবার খবরে আমি মর্মাহত। তিনি একজন মহান নেতা ছিলেন। তার অনন্য সাধারন সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগনের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল। –ইন্দিরা গান্ধী।
১১।বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।– জেমসলামন্ড, ইংলিশ এম পি।
১২।প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, ‘শেখ মুজিব ছিলেন একবিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব।’
১৩।ফিনান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘মুজিব না থাকলে বাংলাদেশ কখনই জন্ম নিতনা।’
১৪।ভারতীয় বেতার ‘আকাশ বানী’ ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট তাদের সংবাদ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে বলে, ‘যিশুমারা গেছেন। এখন লক্ষ লক্ষ লোক ক্রস ধারণ করে তাকে স্মরণ করছে। মূলত একদিন মুজিবই হবেন যিশুর মতো।
১৫।একই দিনে লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ লোক শেখমুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।
১৬।নিউজ উইকে বঙ্গবন্ধুকে আখ্যা দেওয়া হয়, “পয়েট অফ পলিটিক্স বলে”।
১৭।বৃটিশ লর্ড ফেন্যার ব্রোকওয়ে বলেছিলেন, “শেখ মুজিব জর্জ ওয়াশিংটন, গান্ধী এবং দ্যা ভ্যালেরার থেকেও মহান নেতা”।
১৮।জাপানী মুক্তি ফুকিউরা আজও বাঙালি দেখলে বলে বেড়ান,”তুমি বাংলার লোক? আমি কিন্তু তোমাদের জয় বাংলা দেখেছি। শেখ মুজিব দেখেছি। জানো এশিয়ায় তোমাদের শেখ মুজিবের মতো সিংহ হৃদয়বান নেতার জন্ম হবে না বহুকাল।”
১৯।”শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উচুঁতে ছিলো তার মাথাটি, সহজেই চোখে পড়তো তার উচ্চতা। একাত্তরে বাংলাদেশকে তিনিই আলোড়িত-বিস্ফোরিত করে চলেছিলেন, আর তার পাশে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে যাচ্ছিল তার সমকালীন এবং প্রাক্তন সকল বঙ্গীয় রাজনীতিবিদ। জনগণকে ভুল পথেও নিয়ে যাওয়া যায়; হিটলার মুসোলিনির মতো একনায়কেরাও জনগণকে দাবানলে, প্লাবনে, অগ্নিগিরিতে পরিণত করেছিলো, যার পরিণতি হয়েছিলো ভয়াবহ। তারা জনগণকে উন্মাদ আর মগজহীন প্রাণীতে পরিণত করেছিলো। একাত্তরের মার্চে শেখ মুজিব সৃষ্টি করেছিলো শুভ দাবানল, শুভ প্লাবন, শুভ আগ্নেয়গিরি, নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন বাঙালি মুসলমানকে, যার ফলে আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম।”–হুমায়ুন আজাদ
২০।মরহুম মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীও বলেছিলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবের কবর একদিন সমাধিস্থলে রূপান্তরিত হবে এবং বাঙালির তীর্থস্থানের মতো রূপলাভ করবে’।
২১।১৯৭৫ সালে জনাব জিয়াউর রহমান সাহেব যখন ক্ষমতায় তখন তিনজনের একটা আন্তর্জাতিক সাংবাদিকের টিম বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাদের একজন ব্র্যায়ন ব্যারন। যাদের তিন দিন শেরাটনে আটকিয়ে রেখে স্বৈরশাসক সরাসরি বিমানবন্দর দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। দেশে ফিরে ব্যারন লিখেছিলেন- ‘১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে লিখিত তার সংবাদ বিবরণীতে বলা হয়, শেখ মুজিব সরকারিভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনসাধারণের হৃদয়ে উচ্চতম আসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবেন। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার। এটা যখন ঘটবে, তখন নিঃসন্দেহে তার বুলেট-বিক্ষত বাসগৃহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্মারক-চিহ্ন এবং তার কবরস্থান পুণ্য তীর্থে পরিণত হবে।’ (দি লিস্নার, লন্ডন, ২৮ আগস্ট, ১৯৭৫)।
২২।বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার সংবাদ শুনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে, তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন “তোমরা আমার ই দেয়া ট্যাং দিয়ে আমার বন্ধু মুজিব কে হত্যা করেছ! আমি নিজেই নিজেকে অভিশাপ দিচ্ছি”।
.
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শোকে পাথর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার জন্য জার্মানির একটি এয়ারপোর্ট এ তার পাসপোর্ট টি ইমিগ্রেশন অফিসার কে দেখালে সেই অফিসার পাসপোর্ট টি দেখেই শেখ হাসিনাকে বললেন “ছিঃ তোমরা বাংলাদেশিরা খুব জঘন্য একটি জাতি, যেই মানুষটি তোমাদের কে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন তাকেই তোমরা হত্যা করে ফেললে?”। এর পরের ঘটনা আরও বেদনাদায়ক,সেই সময়ের পুরো এয়ারপোর্ট এর মানুষরা দেখল শাড়ি পড়া এক নারী চিৎকার করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।আমরা পৃথিবীর কত বিপ্লবির ছবি আঁকা টিশার্ট পরে ঘুরে বেরাই, কিন্তু ভুলে যাইবাঙ্গালির পরম মমতাময় এই মানুষটিকে। তার মত পরম মমতাময় মানুষ বাঙ্গালির জন্য আর কে আছে? আর কে আছে? অথচ আমরা ভুলে যাই বাঙ্গালির পরম মমতাময় এই মানুষটিকে।
আফসোস এই জাতির এই মানুষটি সম্পর্কে তার বাঙ্গালিরাই তার সম্পর্কে কত জঘন্য কুৎসা রটনা করেছে।আফসোস এই জাতির জন্য। ভালো থেকো ওপারে, আমিন.
পিয়াস খান আনন্দ
সাংগঠনিক সম্পাদক,কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগ বরিশাল মহানগর।।।