নোয়াখালীর বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে এলাহীর নামাজে জানাযা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার নিজের প্রতিষ্ঠিত সোনাপুরস্থ সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযা শেষে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রীপুর গ্রামের নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নোয়াখালী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শাহজাহান, বিকল্প ধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন লাতু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আবু তাহের, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্ল্যাহ খাঁন সোহেল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনসহ হাজার হাজার লোক জানাযায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ফজলে এলাহী (৭৩) সোমবার স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে, আত্মীয় স্বজন রাজনৈতিক বন্ধু ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন। পাশাপাশি তিনি এ অঞ্চলের একজন মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকও ছিলেন। তিনি সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ, সোনাপুর কলেজিয়েট স্কুলসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা করে গেছেন।
ফজলে এলাহীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, ফজলুল হক বাদল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন।