বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে আয় বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। একই অনুপাতে বেড়েছে দলটির ব্যয়ও। দলীয় কার্যালয়ের হিসেবে নতুন ভবন তৈরির কারণে দলটির আয়ের পাশাপাশি ব্যয়ও বেড়েছে।
গত বছর দলটির আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। দলটির উদ্বৃত্ত আছে ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীনি আহমদের কাছে দলের বার্ষিক হিসাব জমা দেন আব্দুস সোবাহান গোলাপ। পরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দলটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ।
তিনি বলেন, আয়ের প্রধান উৎসের মধ্যে রয়েছে দলের নতুন ভবন নির্মাণে অনুদান, দলের সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা, ব্যাংকের টাকা থেকে লাভ ইত্যাদি। আর ব্যয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে দলের ভবন নির্মাণ, কর্মচারিদের বোনাস-বেতন, আপ্যায়ন, সভা-সেমিনার, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ভবন নির্মাণে প্রাপ্ত অনুদান ছাড়াই দলের আয় ছিল ১০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। আর ভবন নির্মাণ ছাড়া ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। সেই হিসাবে ভবন নির্মাণের এই অনুদান ছাড়াই ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালের দলের আয় বেড়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। আর ব্যয় বেড়েছে ৬১ লাখ ৬৩ হাজার ৭২০ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।