সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরণের অশ্লীল, অসঙ্গতিপূর্ণ ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে বেশ আলোচনায় সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি। নানা বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে অল্প সময়ে তারকা বনে যান এ সেফু।
অস্ট্রিয়া প্রবাসী এ বাংলাদেশির এমন আচরণে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে তার পরিবার।
তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি অস্ট্রিয়ার রাজধানীর ভিয়েনায় বসবাস করছেন।
অল্প সময়ে ফেসবুক তারকা বনে যাওয়া এ সেফুদা মূলত মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজন খুবই লজ্জিত বলেন তার স্ত্রী।
তার স্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন কি করতে পারি, এগুলো বন্ধ করার কি কোনো উপায় নেই? সে তো অসুস্থ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কি এগুলো বন্ধ করে দিতে পারেনা? উনিতো আসলে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।’
বাংলাদেশ পুলিশের মহা পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি জানান, এধরনের যারা দেশের বাইরে বসে দেশের সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে নিজ দেশের সম্মান নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আইএসপিএবি’র সভাপতি এমএ হাকিম জানান, সময় মতো ব্যবস্থা না নেয়ায় অপরাধগুলো প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের উচিত একটা মনিটরিং সেল করা। মনিটরিং সেল করে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি করা হলে এই ধরনের অপরাধ সহজেই রোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।