গাজীপুর: বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের নামে গাজীপুরে আওয়ামীলীগ সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ। ২০১৪ সাল থেকে এই মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু দূর্নীতি ও অনিয়মের কারণে গাজীপুরবাসীর পুঞ্জিভূত আশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি এই হাসপাতাল। হাসপাতালের সেবাকাজের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা পরস্পর যোগশাযশে এই কাংখিত হাপসাতালকে এখন দূনীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। ফলে গাজীপুরবাসাী চিকিৎসার নামে প্রতারিত হচ্ছেন দিন দিন। এই হাপসাতালের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে আজ থেকে শুরু হল “জিম্মি শহীদ তাজউদ্দীন!” নামে ধারাবাহিক প্রতিবেদন।
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লিখে গুগলে ক্লিক করলেই ভেসে উঠে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আলী হায়দার খান এর নাম। কিন্তু এখন সিভিল সার্জন হলেন ডা: সৈয়দ মোঃ মনজুরুল হক। একই অবস্থা এই হাসপাতালের অন্যান্য তথ্যে।
আজকে দেয়া হল গুগল এই হাপসাতাল সম্পর্কে কি বলে দেখি:
শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ। সরকারি হাসপাতাল। Haspatals.com
গুগল বলছে, এই হাপসাতালে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা~দুপুর ০২ঃ৩০ সেবা দেয়া হয়। শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে শয্যা সংখ্যা ৫০০। ডাক্তার সংখ্যা ২১ জন।
বিবরণ: ১৯৭৮ সালে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট জয়দেবপুর থানা হেলথ কমপ্লেক্স’ নামে হাসপাতালটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৪ সালে একই ভবনে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট থানা হেলথ কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে ‘জেলা সদর হাসপাতাল, গাজীপুর’-এ রূপান্তর করা হয়। আরো বেশি পরিমাণ জনগণকে সেবার জন্য২০০৪ সালের জুলাই থেকে এটিকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৩ সালের ২২ আগস্ট ১০০ থেকে ৫০০ শয্যায় রূপান্তরিত করে নাম দেওয়া হয় ‘৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার, গাজীপুর’। সরকারি উদ্যোগে গাজীপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর থেকে হাসপাতালের নতুন নামকরণ করা হয় ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, গাজীপুর। সদর হাসপাতালের জন্য সম্প্রসারণ করা ভবনেই শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। এটি গাজীপুর জেলার একমাত্র সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বহির্বিভাগঃ
প্রতিদিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ রোগী বহির্বিভাগে অত্যন্ত কম খরচে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিয়ে থাকেন।
ডাক্তারগণঃ
এ হাসপাতালে বর্তমানে বেশ চিকিৎসকের সংকট রয়েছে। ৯জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নয়জন মেডিকেল অফিসার এবং ডেপুটেশনে থাকা কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং মেডিকেল অফিসার সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
সিভিল সার্জন,গাজীপুরঃ
গাজীপুর সার্কিট হাউজের সন্নিকটে অবস্থিত গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস ৭ জন প্রথম শ্রেনীর কর্মকতা, ৩ জন ২য় শ্রেনীর কর্মকর্তা, ১৭জন ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী ও ৯জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী সমন্বয়ে পরিচালিত হয় । এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতাল, ১টি বিশেষ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, ৪টি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (শয্যা বিহীন), ১৭টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২০১টি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়।
চিকিৎসার বিবরণঃ
জরুরী চিকিৎসাঃ
জরুরি চিকিৎসার জন্য রোগী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসলে তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করে ফাস্ট এইড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। আর অবস্থা জটিল হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট যাচাই করে অবস্থা জটিল না হলে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। যদি অবস্থা আরও জটিল হয় তাহলে রোগীকে ভর্তি করে অন্ত:বিভাগীয় চিকিৎসার ন্যায় সেবা প্রদান করা হয়। আর অন্ত:বিভাগে চিকিৎসা প্রদান সম্ভব না হলে জরুরি বিভাগ থেকেই সরাসরি উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষাঃ নিয়মিত বিহেবিয়ার চেইঞ্জ কমিউনিকেশন(বিবিসি) কা্র্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা হয়।
প্রয়োজনীয় পুষ্টি সহ পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের উন্নয়ন।
পর্যাপ্ত নিরাপদ পানি পান ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সহ পরিবেশের উন্নয়ন এর জন্য পরামর্শ দান।
মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং পরিবার পরিকল্পনা।
প্রধান সংক্রামক রোগ সমূহের বিরুদ্ধে টিকার ব্যবস্থা গ্রহণ।
আঞ্চলিক সংক্রামক রোগ সমূহের নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ ।
সাধারণ রোগ ও যখমের চিকিৎসা ।
অত্যাবশ্যকীয় ঔষধের ব্যবস্থা গ্রহণ।
মোবাইল স্বাস্থ্য সেবা চালু রয়েছে
অন্যান্যঃ
হাসপাতালটিতে দুইটি অ্যাাম্বুলেন্স রয়েছে।
FEATURE LIST
পার্কিংঅ্যাম্বুলেন্সঅগ্নি নির্বাপকজরুরী বিভাগবহির্বিভাগগরীব রোগীদের জন্য ব্যবস্থামেডিকেল কলেজবিনামূল্যে ওষুধআইসিইউবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরোগ নির্ণয় পরীক্ষাঅস্রোপচার ব্যবস্থাখাবার সরবরাহব্লাড ব্যাংকঅভিযোগ ব্যবস্থাসমাজকল্যান বিভাগনার্স।
চলবে–