পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তনির্ভর। বেড়েছে আধুনিকতা, অবহেলিত হয়েছে স্বাস্থ্য।
রাতের স্বাভাবিক ঘুমে বাধ সেধেছে আধুনিক প্রযুক্তি। অগ্রাধিকার পেয়েছে টিভি অথবা মোবাইল ফোন। বিশেষ করে যারা শহরের বাসিন্দা, মূলত একা। একাকিত্ব দূরীকরণের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে অনেকেই সঙ্গী করেন নিজের স্মার্টফোনকে। এভাবেই কেটে যায় সময়। আর, নিজের অজান্তেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনিদ্রা রোগে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায়, গড়ে ৩১ শতাংশ মানুষ রাতে সাত ঘণ্টারও কম ঘুমোন। যা শুধুমাত্র বিস্ময়কর নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে। কারণ, দিনের স্বাভাবিক কাজকর্মের ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, টিনএজারদের ঘুমের পরিমান আরও কম, প্রায় ৬ ঘণ্টার মত। ১১ শতাংশ মহিলা ঘুমান মাত্র ৫-৬ ঘণ্টা।
গবেষণার ফলাফল থেকে উঠে আসে একটাই প্রশ্ন। ঘুমের সময় হ্রাসের মূল কারণ কী? অতিরিক্ত কাজ না অন্যকিছু। তথ্য জানাচ্ছে, বেশীরভাগ মানুষই ঘুমের সময় টেলিভিশন কিংবা স্যোশাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে পছন্দ করেন। যা ব্যাঘাত ঘটায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। আবার, অনেকে দিনের শেষে নিজের ভবিষ্যতের অহেতুক চিন্তা করে সময় অতিবাহিত করেন। তাই বলা যায়, টেক-ফ্রেন্ডলি কালচার ক্রমাগত বাড়িয়ে চলছে অনিদ্রাকে। গবেষণার তথ্য অনুসারে, ৩২ শতাংশ মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্তি অনুভব করেন। অনিদ্রা থেকে আসতে পারে অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও। দীর্ঘদিন অনিদ্রাতে ভুগলে হতে পারে নানান শারীরিক জটিলতা। তাই, সময় থাকতে সাবধান হোন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারেন।