গাজীপুরের কাপাসিয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিবেশির কিল-ঘুষিতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম শিউলী আক্তার লতা (৩২)।
তিনি কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ীয়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারী ও তার ছেলেসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, কাপাসিয়া উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের ইউনুছ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় শিউলী আক্তারের বাঁশ ঝাড়ের বাঁশ বেশ কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী হেলেনার রান্না ঘরের চালের ওপর হেলে পড়েছে। হেলেনা হেলে থাকা বাঁশ কেটে ফেলার জন্য শিউলীকে প্রায়শঃ অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু বাঁশ না কাটায় রবিবার সন্ধ্যায় হেলেনার সঙ্গে শিউলীর বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে হেলেনা ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে শিউলীকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এতে গুরুতর আহত হয়ে এক সন্তানের জননী শিউলী মাটিতে লুটিয়ে পরে। খবর পেয়ে বাড়ির অন্য সদস্যরা শিউলীকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিউলীকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে ময়েজ উদ্দিনসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে নিহতের বাবা আসাদুজ্জামান সোহেল সোমবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী ময়েজ উদ্দিনের স্ত্রী হেলেনা আক্তার (৪৫), তাদের মেয়ে ও শেখ আকবর আলীর স্ত্রী কাকলী আক্তার (২৮) এবং ছেলে মাহফুজকে (২২) আটক করলেও মামলায় অভিযুক্ত হেলেনা ও তার মেয়ে কাকলীকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তবে আটক মাহফুজকে পুলিশী হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গাফফার জানান, নিহতের স্বামী ছাত্তার মোল্লা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দুবাই প্রবাসী। দুই বছর আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। তাদের রিফাত নামে মাদরাসা পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।