ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সিউড়িতে অভিনব এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। নিজের সাবেক স্ত্রীকে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
আর এ জন্য বোরকা পরে ছদ্মবেশে স্ত্রীকে অপহরণ করতে যান। কিন্তু স্ত্রীর চতুরতা ও গ্রামবাসীর কল্যাণে ধরা পড়ল স্বামী।
ওই অভিযুক্তের নাম আব্দুল্লাহ। গ্রামবাসীর হাতে গণধোলাই খেয়ে স্ত্রীকে বিক্রি করতে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকারও করেছেন ওই ব্যক্তি। পরে
সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত অপহরণকারী বোরকা পরে প্রথমে মেয়ে সেজেছিলেন। একটি মারুতি গাড়ি ভাড়া করে সাবেক স্ত্রী রাজিয়াকে গাড়িতে তুলে নেন। গাড়িতে বোবার অভিনয় করায় প্রথমে নারী ছদ্মবেশী স্বামীকে চিনতে পারেননি রাজিয়া। পরে ছদ্মবেশ প্রকাশ হয়ে পড়লে স্ত্রী যাতে চিৎকার করতে না পারে, সে জন্য রাজিয়ার মুখ চেপে ধরেন আবদুল্লাহ।
একসময় ছোট আলুন্দা নামক গ্রামের কাছে গাড়ি আসতেই চিৎকারসহ গাড়ির কাচে ধাক্কা দিতে থাকেন রাজিয়া। এ দৃশ্য চোখে পড়ে গ্রামবাসীর। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির পিছু ধাওয়া করে একসময় গাড়িটি ধরে ফেলেন তারা। উদ্ধার করা হয় রাজিয়াকে। উদ্ধারের পর রাজিয়া বলেন, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন যে স্বামী নারী ও মাদকপাচারের সঙ্গে যুক্ত। তাই দেড় বছর আগে স্বামীকে ডিভোর্স দেন তিনি।
এতে স্বামী তার ওপর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন। নিজেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকেন তিনি। সাবেক স্বামী তাকে কয়েকবার হত্যা ও অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ করেন রাজিয়া। সিউড়ি থানার পুলিশ এসব অভিযোগের তদন্ত করছেন।
অপহরণের পর স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে।