বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের মেইন বাসষ্ট্যান্ডে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নার্স গণধর্ষণের শিকার হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২জনকে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নার্স নিজেই বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া ইউনিয়নের ওই নার্সের দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, সে দুপচাঁচিয়া মেইন বাসষ্ট্যান্ডে অবস্থিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্সের কাজ করে। সে প্রতিদিন বাড়ী থেকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাতায়াত করে। পার্শ্বের গ্রামের নূর ইসলাম এর ছেলে সোহান (২০) তাকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন গত ২৭ জুলাই ওই নার্সকে বিয়ে করবে বলে প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে তালোড়া কাজী অফিসে যাওয়ার কথা বলে দুপচাঁচিয়ার দোগাছি মানিকগঞ্জ মাঠের কাছে নিয়ে যায়। রাত আনুমানিক ৯টায় ৪ যুবক মিলে তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত আনুমানিক ১১টায় আবারো তারা তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই নার্স জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। ভোরে সে অসুস্থ অবস্থায় তার কর্মস্থল দুপচাঁচিয়া প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসে এবং সিনিয়র নার্সকে ঘটনাটি অবগত করে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
পরে আসামিরা আপোষের প্রস্তাব দিয়ে এবং ভয়ভীতির দেখিয়ে মামলা না করার হুমকি দেয়। পরে ১১ আগষ্ট শনিবার দুপচাঁচিয়া থানায় নিজেই বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম জানান, এজাহারভুক্ত ২ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো, গাড়ী বেলঘড়িয়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সাজু (২৮) ও খিহালী পশ্চিমপাড়ার আব্দুল রহিমের ছেলে নাজিম (২০)।
বগুড়ার আদমদিঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, নার্সকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে মর্মে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার ওই নার্সকে মেডিকেলে নেয়া হতে পারে।