ডিমলায় সিয়াম ব্লাড ক্যান্সার রোগ থেকে বাচঁতে সকলের সাহায়্য চান

Slider রংপুর


মোঃ জাহিদুল ইসলাম, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নিজের যা কিছু ছিল সবকিছু বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষের কাছে ঋণ করেছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, সবকিছু শেষ করে দিয়েছি,অনেক কষ্ট করে অনাহারে অর্ধহারে স্বামী/স্ত্রী উভয়ে মিলে সন্তান কে নিয়ে দিনাপাত করছি। ব্লাড ক্যান্সার রোগের ভয়ংকর ব্যাধি আক্রান্ত করেছে। ডাক্তার বলেছে, সিয়ামের ব্লাড ক্যান্সার রোগ হয়েছে। সিয়ামের বাবা, মা, চাচা,দাদা,দাদী হাঁউ-মাউ করে কেঁদে সংবাদকর্মীকে এ কথাগুলো বললেন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডিমলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বাবুর হাট জামে সমজিদ পাড়া এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মোঃ মমিনুর রহমান মমিন নামের এক দিনমুজুর। তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল তার বাড়িতে ১০আগষ্ট দুপুরে তিনি বলেন,গত ৬ মাস আগে হাত পা,সাদা হয় অনুভব করি। গ্রামের পল্লী চিকিৎসক,কবিরাজ হাকিমের কাছে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে কোন সুফল পাইনি। দিনে দিনে ক্যান্সার থেকে হাত পা সাদা বাড়তে থাকে এবং শক্তি কমে যায়।এলাকার কিছু লোকের পরামর্শ অনুযায়ী রংপুর সরকারি মেডিকেল হাসপাতালের ভর্তি করিয়া এম,বি,বি,এস ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহন করি। সেখানে তেমন কোন উন্নতি পাইনি দিনে দিনে অবনতির দিকে ধাপিত হয়। সৃষ্টি হয় ক্যান্সার নামক এক যন্ত্রণা।

এদিকে ক্যান্সারে যন্ত্রনা আরো বেগবান হয়। শেষ সম্ভল জমানো যাহা ছিল তা দিয়ে চলে যান রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে সেখানে ৩ মাস চিকিৎসার পরে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগটি নির্ণয় করে জানান ব্লাড ক্যান্সার রোগ হয়েছে। সিয়ামকে ইন্ডিয়া নিয়ে যেতে হবে। সিয়ামের বাবা জানায় আমার রংপুরের খরচ যোগাতে ঠিকমত পারছিনা। পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে আবারো সিয়াম রংপুরের পেশক্রিপশণ এর তত্ত্বাবদানে চিকিৎসা চলছে। তবে তাকে দ্রুত উন্নতি চিকিৎসার প্রয়োজন নয়তো অকালে ঝরে যাবে একটি প্রান। ডাক্তার বলেছেন চিকিৎসা করতে অনেক টাকা লাগবে। প্রতিদিন তার শরীরে ১ থেকে ২ ব্যাগ রক্ত দিতে হবে। তার রক্তের গ্রুপ ‘এ’ পজিটিভ। তার বাবা মা জানান,অভাবে সংসার কিভাবে এতটাকা জোগাড় করবো,সংসারের একমাত্র উর্পাজনকারী সিয়ামের বাবা। বাচ্চা অসুস্থ কি ভাবে কি করবো ভাবতে পারছিনা।এত টাকা দিনমুজুরী করে একটি সংসার থেকে যোগান দেওয়া আমার পক্ষে অসম্ভব।এমনিতেই অনাহারে অর্ধহারে দিনাপাত করছি। কোন কিছুই নেই যে, তা বিক্রি করে চিকিৎসা চালাবো। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিভু-নিভু জীবন কাটালেও এখনও পর্যন্ত সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেনি সমাজের সরকারী-বেসরকারী এনজিও কিংবা উচ্চ পদস্থ কোন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের নেতা। পরিবারটির স্ব-র্নিবন্ধ অনুরোধ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে স্ব-হৃদয়বানরা এগিয়ে আসুন একটি জীবন বাঁচাতে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, চাচা মোঃ মনিরুল ইসলাম পার্সোনাল বিকাশ নং-০১৭১৯৪৪৬০৭২ অথবা কেউ এই ঠিকানায় সাহায্য করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *