বাংলাদেশে নয়, ভারতেই জন্মগ্রহণ করেছেন দেশটির বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা’র মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সোমবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (চিফ মিনিস্টার অফিস বা সিএমও)।
গত কয়েকদিন ধরেই উইকিপিডিয়ায় বিপ্লব দেবের প্রোফাইল পেজে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে বারবার সংশোধনের ঘটনা নিয়ে পানিঘোলা হওয়ার পর অবশেষে সিএমও-এর শীর্ষ কর্তা জানান ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার গোমতী জেলার জামজুরি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন বিপ্লব দেব।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় মিশ্র জানান, ‘গত ২ আগষ্ট থেকে আমরা একটি জিনিস লক্ষ্য করেছিলাম যে মুখ্যমন্ত্রীর প্রোফাইল পেজে একের পর এক ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছিল। এটা একটা অসৎ প্রচেষ্টা ছিল। ২ থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত উইকিপিডিয়ার পেজে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মস্থান একাধিকবার বদল করা হয়। ’
নাগরিকত্বের সনদ অনুযায়ী বিপ্লব দেবের বাবা হিরুধন দেব ১৯৬৭ সালের ২৭ জুন থেকে ভারতের নাগরিক। ওই সনদেই বলা আছে যে ত্রিপুরার জামজুরি এলাকার বাসিন্দা এবং কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই জন্মস্থান নিয়ে কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রোলের শিকার হন বিপ্লব দেব। বলা হয় অাসামের মতো ত্রিপুরায় জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) শুরু হলে সবার আগে তালিকা থেকে বাদ যাবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কারণ তাঁর পরিবার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কচুয়া উপজেলার চাঁদপুর থেকে ভারতে এসেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিপ্লবের বাবা-মা নাকি বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসাবে ভারতে চলে আসেন।
যদিও এরই মধ্যে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়নের দাবিতে ত্রিপুরাতেও নাগরিক পঞ্জি করার দাবি জানিয়েছে ত্রিপুরা ট্রাইবাল পার্টি (টিটিপি)। তবে নিজের রাজ্যের মানুষকে নিশ্চিন্ত করে বিপ্লব দেব জানিয়েছেন ত্রিপুরাবাসীর নাগরিক পঞ্জির প্রয়োজন নেই। রাজ্যের প্রতিটি মানুষের নাগরিকত্বই বৈধ। ফলে অাসামের মতো তাঁর রাজ্যে কোন সমস্যা নেই। ’