যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, শেখ কামাল হলেন বহুমাত্রিক গুণে গুণান্বিত যুবক। তারুণ্যের দীপ্ত উদাহরণ, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব।
আমরা আমাদের যুব সমাককে যেভাবে দেখতে চাই, শেখ কামাল যেন তারই প্রতীক। শেখ কামাল একজন আদর্শ সন্তান। পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববান। শেখ কামাল উজ্জ্বল মেধাবী এক শিক্ষার্থী। একজন সংস্কৃতিবান তরুণ, শিল্প সংস্কৃতিক ও সাহিত্যের অঙ্গনে যিনি একজন মনোযোগী কর্মী। একজন ক্রীড়ানুরাগী, খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যিনি একজন উদীপ্ত তরুণ প্রাণ। একজন দক্ষ সংগঠক, নেতৃত্বেও অনবদ্য ব্যক্তিত্ব যার প্রতিটি পদক্ষেপ। সবচেয়ে বড় কথা তিনি একজন সাহসী মানুষ। দেশের জন্য তিনি নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি হলেন আমাদের স্বপ্নের যুবক। আমাদের প্রত্যাশিত, কাঙ্ক্ষিত যুব অবয়ব। এ কারণেই শেখ কামালকে স্মরণ করা আমাদের জরুরি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
এর আগে, রবিবার সকাল ৮টায় শেখ কামাল প্রতিষ্ঠিত আবহানী ক্লাব চত্বরে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ও সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ যুবলীগ। এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার ৪র্থ তলার অডিটরিয়ামে শহীদ শেখ কামালের বৈচিত্র্যময় জীবনের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শেখ কামালের আদর্শ আলোকিত হওয়া আজ সময়ের দাবি। যুবলীগ মনে করে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন “জনগণের ক্ষমতায়ন” বাস্তবায়নের জন্য আজ প্রয়োজন শেখ কামালের আদর্শকে ধারণ ও লালন। শেখ কামালের মতো মেধা ও মননশীল তরুণরাই পারবে বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বানাতে। আদর্শ যুবকের প্রতীক তুমি, রবে চির অম্লান, যুব সমাজের প্রতীক তুমি, স্বপ্নের আরেক নাম-শেখ কামাল, শেখ কামাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর ভর করে বিএনপি জামায়াত অপরাজনীতি করছে এবং গুজব ছড়াচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের যৌক্তিক দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে মেনে নিয়েছেন। তোমাদের উচিত ক্লাসে ফিরে যাওয়া।
দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন আর খালি গায়ে, খালি পেটে, খালি পায়ে নাই। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ চীন ও ভারতে কাতারে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভীক্ষুকের জাতি থেকে এখন মর্যাদাবান দেশে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের দারিদ্র্য দেশগুলো অনুসরণ, অনুকরণ করছেন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ ইউরোপ-আমেরিকায় পরিণত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাড. বেলাল হোসেন, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. বদিউল আলম, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাফর আহম্মেদ রানা প্রমুখ।