ঘুম থেকে উঠেই বিছানায় সাপের দর্শন। সাত সকালে ভয়ে তটস্থ গৃহকর্তা।
ভারতের মালবাজার মহকুমার গজলডোবা সাত নম্বর কল্যাণী এলাকার ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক।
রবিবার সকালে ঘরে মধ্যে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন গোসাই দাস সরকার। হঠাৎ ঘুম ভেঙে চোখ যায় পায়ের দিকে। দেখেন, একটি সাপ তার পায়ের কাছে। বাদামি লালচে সেই সাপ দেখে চমকে ওঠেন গৃহকর্তা।
পাশ ফিরে কোনওভাবে বিছানা থেকে উঠে পড়েন তিনি। সাত সকালে বিছানায় সাপ দেখে চিৎকার শুরু করেন গৃহকর্তা। তার চিৎকারে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। দেখেন, সাপটি তখনও বিছানার ওপরে একটি পাটাতনের লুকিয়ে পড়েছে।
এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
পরিবারের চিৎকারের ভয়ে নিরাপদ স্থানের খোঁজে সাপটি খাটের মধ্যেই ছোটাছুটি শুরু করে। এতে আরও আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। ঘরের মধ্যেই বিষধর সাপ তাড়াতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সাপের আতঙ্কে বাড়ির মালিক বলেন, প্রতিদিন সকালে আমার ছেলে-মেয়েরা এই খাটেই পড়াশোনা করে। কিন্তু আজ আমার চোখে পড়ে যাওয়ায় রক্ষা পেলাম। এরপর খবর দেওয়া হয় বন-অধিদফতরকে। তিনি জানান, এ ধরনের সাপ তারা আগে দেখেননি।
কিন্তু, কীভাবে হঠাৎ সাপের আগমন? স্থানীয়দের দাবি, রাতভর বৃষ্টির জেরে সম্ভবত নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতেই সাপটি কোনও ভাবে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। কাউকে আক্রমণ না করেই সাপটি বিছানার উপর উঠে পড়ে। এরপরই গৃহকর্তার চিৎকারে ও পরিবারের সদস্যদের অতি তৎপরতায় সাপটি ভয়ে ঘরের মধ্যেই তাণ্ডব শুরু করে।
পরে, পালানোর পথ খুঁজে না পেয়ে খাটের পাশের একটি পাটাতনের নিচে আশ্রয় নেয় সাপটি। পরে বনকর্মীদের খবর দেওয়া হলে উদ্ধার হয়। দিনে দিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জেরে হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়। বর্ষা সাপের প্রজননের সময়। ফলে, উপদ্রব বাড়ছে সাপের।