ঢাকা: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত পাঁচজন ফটো সাংবাদিক আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক এএম আহাদ ও দৈনিক বণিক বার্তার ফটোসাংবাদিক পলাশ। তাৎক্ষনিকভাবে বাকি তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দুইটার দিকে ফটোসংবাদিকরা আন্দোলত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ছবি তুলছিল। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, লাঠিসোটা নিয়ে প্রায় ৫০জন সাংবাদিকদের একটি গ্রুপকে ধাওয়া দেয়।
ধাওয়ার মধ্যেই প্রায় ৫ জন ফটোসাংবাদিক ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। পুলিশের সামনে হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি বলে আক্রান্ত সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন। পুলিশ ছাত্রলীগের হামলাকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা। তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার সময় কে হামলাকারী, কে শিক্ষার্থী আর কে সাংবাদিক তা চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলার সময় ২০০ গজ দূরেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সিটি কলেজের সামনে সশস্ত্র অবস্থানে ছিল। বিষয়টি দৃষ্টিতে আনা হলে উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, তারা বিভ্রান্ত। এর আগে গতকাল জিগাতলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। ছাত্রলীগের কর্মীরা কয়েকটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনও ভাঙচুর করে।