চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনের মত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-কর্মসূচি অব্যাহত আছে। শুক্রবারও শিক্ষার্থীরা নগরের বিভিন্ন মোড়ে দাঁড়িয়ে লাইসেন্স চেক করছে।
তাছাড়া শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ শ্লোগান দিয়ে অবস্থা করেছে।
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গণপরিবহনে ধর্মঘটের চিত্র দেখা দিয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে দুর পাল্লার বাস তুলনামূলক কম ছেড়েছে বলে জানা যায়।
গণপরিবহন মালিকদের দাবি, চলমান পরিস্থিতিতে এখন অনেকেই সড়কে বাস নামাতে আগ্রহী নয়। অনেক মালিক চালকদের গাড়ি কম ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই চালক-শ্রমিকরা যানবাহন নিয়ে পথে নামছে না।
সোহাগ পরিবহণের চট্টগ্রাম শাখার ব্যবস্থাপক মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘সকালে ঢাকার পথে একটি বাস ছেড়ে গেছে। তবে অন্য দিনের চেয়ে যাত্রী কম। যাত্রী পেলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আবার বাস ছাড়া হবে।
’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো. মুছা বলেন, ‘সড়কে শ্রমিকদের নাজেহাল এবং গাড়ি ভাংচুর করা হচ্ছে, তাই চালকরা সড়কে নামতে আগ্রহ পাচ্ছে না। পরিবহন মালিকরাও ভীত। অনেক শ্রমিক আমাদের বলেছে, মালিকের নিষেধ অমান্য করে তারা গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছে না। তবে এ ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেই। ’
উল্লেখ্য, ঢাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে চট্টগ্রামেও সড়কে অবস্থান নিয়ে চলছে যানবাহন ও চালকের লাইসেন্স চেক। লাইসেন্স থাকলে ফিট, অন্যথায় ভুয়া। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গাড়ির ফিটনেস না থাকা, চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসায় দূলপাল্লার যাত্রায় বাসে চড়তে কম আগ্রহী যাত্রীরা। চট্টগ্রাম জেলার উত্তর ও দক্ষিণ অংশের ১৪ উপজেলার পথে চলাচলকারী বাসের সংখ্যাও ছিল কম বলে জানা যায়।