চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমান সেতুর টোলপ্লাজা ভাঙচুরে করেছেন চট্টগ্রাম মিরসরাই সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) মশিয়ার রহমান। এ সময় তিনি টোলপ্লাজা ভাঙচুর ছাড়াও টোল উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে লাঠিপেটা করেন।
এতে তারা মারাত্বক ভাবে আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর কর্ণফুলী থানার শাহ আমানত সেতু’র টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- টোলপ্লাজার সিনিয়র কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দাম হোসেন, টোল সংগ্রহকারী ফয়সাল, সোহাগ, নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা এবং কামাল।
চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা অবহিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
নগরীর কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কোন কারণ ছাড়াই এএসপি মশিয়ার রহমান টোল প্লাজা ভাঙচুর করে। তাদের ৫ কর্মকর্তার কর্মচারীরর উপর হামলা চালান এ এএসপি। ’
শাহ আমানত সেতু টোলপ্লাজার পরিচালক (অপারেশন) অপূর্ব শাহা বলেন, টোল সংগ্রহকালে কয়েকটি গাড়ি লাইনে দাঁড়ানো ছিল।
এসময় মশিয়ার রহমান পথ ক্লিয়ার করা হয়নি কেন তা জানতে চেয়ে লাঠি দিয়ে টোলপ্লাজা ভাঙচুর শুরু করেন। তিনি প্রথমে টোল সংগ্রহারী সোহাগ ও ফয়সালকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। তাদের রক্ষা করতে এসে পরবর্তীতে তার হামলার শিকার হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ রানা ও কামাল। তিনি অনেক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে পরে গাড়ি নিয়ে কক্সবাজার অভিমুখী রওনা দেন।
অপূর্ব শাহা বলেন, ‘হামলার সময় এএসপির আচরণ ছিল অসংলগ্ন। তিনি হামলার সময় মাতাল ছিলেন মনে হয়েছে। ’
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, এএসপি মশিয়ার রহমান এর আগেও একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। মাতাল হয়ে লোকজনকে মারধরের কারণে কিছুদিন আগে তাকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়। কিন্তু তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেননি।