এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
রাজধানী শহর ঢাকায় দুইটি বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে দেশের অন্যান্য জেলার মতো ঠাকুরগাঁওতেও প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১ টায় ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তায় সড়কের দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা জানিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে।
এর আগে সকাল ১০ টার সময় থেকেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজনিজ প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক পরিধান করে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুল বড়মাঠে এসে জমায়েত হতে শুরু করে। পরে বেলা সাড়ে ১১ টায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর একটি র্যালি শহরস্থ চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে শিক্ষার্থীরা রাস্তার দুইপাশের যানবাহনের নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলে ট্রাফিক পুলিশের ন্যায় ভূমিকা পালন করে। এসময় তারা লাইসেন্সহীন ৩ টি ট্রাক আটকিয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। লাইসেন্স চেকআপ চলাকালে কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভার শিক্ষার্থীদের সাথে ঊদ্ধতপূর্ণ আচরণ করলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুইটি ট্রাক ভাঙচুর করে। এসময় ট্রাক ড্রাইভার-শিক্ষার্থীদের ধ্বস্তাধস্তিতে ৩ জন আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকার, পুলিশ কিংবা পরিবহণ মালিক- কারোরই বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন নয়। আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চাই। এই দেশের মন্ত্রী-এমপিরা অন্যের মৃত্যুতে পলিটিকাল স্টেটমেন্ট দেয়, হাসাহাসি করে তবুও শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের বিষয়ে কথা বলে না।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত রাখে। বেলা ১ টায় শিক্ষার্থীরা পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী সমাপ্ত ঘোষণা করে বিক্ষোভস্থল ত্যাগ করে।