আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী সপ্তাহে প্রস্তাবিত সড়ক নিরাপত্তা আইন অনুমোদনে মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আইনটি সংসদে পাস হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর সেতু ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার যৌক্তিকতা আছে। এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে। দুই সহপাঠীকে হারিয়ে তারা সড়কে নেমেছে, তাদের এই বিক্ষোভ ক্ষোভের বাস্তবতাও আছে। দুই সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে—এর জন্য সবার খারাপ লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী মর্মাহত, আমরা সবাই তাদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। তারপরও আমি শিক্ষার্থীদের বলব, একটু ধৈর্য ধরো, সময় দাও।’
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘নৌপরিবহনমন্ত্রী নিজেও তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস হলেই কাজ শুরু হবে। দুর্ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটু সময় দিন। যারা দোষী, যারা তাদের ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।’
দুর্ঘটনার পর নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্যের বিষয়ে তাঁকে কিছু বলেছেন কি না, জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর নৌমন্ত্রীকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁকে অনেক কিছু বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য দেওয়ার পর এই ব্যাপারে আমাদের আর কথা বলা ঠিক না।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাস্তাঘাটে যানবাহন কম, বিপাকে পড়েছেন মানুষ—এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা গাড়ির মালিক, তাঁরা তো গাড়ি বের করবেন না—এটাই স্বাভাবিক। গতকালও গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি শিগগিরই কেটে যাবে। সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
আইন তো হয়, কিন্তু দেখা যায় নৌমন্ত্রী শ্রমিক ফেডারেশন করেন, ধর্মঘটে যান। তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে বাধা দিলে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নৌপরিবহনমন্ত্রী বাধা না। এটা বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এখানে নৌ মন্ত্রণালয়ের কোনো ভূমিকা নেই। তিনি কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
বর্তমানে সড়কের অবস্থা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সড়কে নৈরাজ্য নেই, তবে কিছু বিশৃঙ্খলা আছে। আইন পাস হলে এগুলো দূর করা হবে। আইন হলে যানজট ও সড়কের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসবে।