আমরা যারা শহরে থাকি, শীতের পর্যাপ্ত কাপড় কিনতে পারি, তাদের জন্য শীত একটি দারুণ উপভোগ্য সময়। কিন্তু এই শহরেই রাস্তায় খোলা জায়গায় যারা থাকে তাদের অবস্থাটা কেমন তা কি ভাবছি আমরা?
ধরুন আপনি কোনো গ্রামে বেড়াতে গিয়ে দেখলেন, কনকনে শীতের সকালে কোনো এক গাঁয়ে একজন বৃদ্ধ শরীরে একটুকরো পাতলা কাপড় জড়িয়ে বসে আছেন। তিনি শীতে কাপছেন, তিনদিন সূর্যের দেখা নেই। বৃদ্ধের দৃষ্টি আকাশের দিকে। অসহায় বৃদ্ধ হয়তো তার অভিমানের কথাই বলছেন মনে মনে।
সেই বৃদ্ধের পাশ দিয়ে যাচ্ছে ৫-৬ বছরের একটি ছোট্ট শিশু তারও গায়ে মাত্র একটি গেঞ্জি। শীতে ঠকঠক করে কাঁপছে। কুয়াশায় ভালো দেখা যাচ্ছে না, তার হাতে কী? কাছে আসতেই বোঝা গেল সে স্কুলে যাচ্ছে।
শিশুটি খালি পায়ে এই কনকনে শীতে স্কুলে যাচ্ছে দেখে কেমন লাগছে আপনার? নিশ্চয় ভাবছেন নিজের ঘরে ফেলে রাখা শীতের কাপড়গুলো যদি এদের দিতে পারতাম তবে এই দুজনের শীতের কষ্ট তো দূর হতো। অথবা এখানে শীতের কাপড়ের একটা দোকান পেলে তাদের জন্য দুটো শীতের কাপড় কিনে দিতেন। এটাও যদি সম্ভব না হয় তবে ব্যাগ খুলে কিছু টাকা তাদের হাতে দিয়ে অনুরোধ করতেন একটি শীতবস্ত্র কিনে নিতে।
আমাদের চারপাশের অসহায় মুখগুলো যাদের একটু হলেও ভাবায়, তারা তো সুযোগ পেলে কিছু করতে চাই। ভালোবেসে পাশে দাঁড়াতে চাই একটি গরম কাপড় নিয়ে তাদের জন্য।