ইসলামাবাদ:পাকিস্তানের ১১তম সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য দেশের সাধারণ জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান খানের তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবি। মাত্র সাত মাস হলো ইমরানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এমন একজনকে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেছেন, যিনি সত্যিকার অর্থেই তাঁদের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ জাতিকে এমন একজন নেতা দিয়েছেন, যিনি মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার কর্মী।’
স্বামীহারা, দরিদ্র ও এতিমদের উদ্দেশে অভিবাদন জানিয়ে বুশরা বলেন, পিটিআইয়ের প্রধান সব নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করতে কাজ করবেন।
ইমরানের দ্বিতীয় ও সাবেক স্ত্রী রেহাম খান নির্বাচনের ফলাফলের দিকে আঙুল তুলেছেন। ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, ফল দেখে তাঁর পিলে চমকে গেছে। সারা জাতি এই ফলে স্তম্ভিত। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই নির্বাচনকে নিকৃষ্টতম আখ্যা দিয়েছে।
বিবিসির সাবেক এই সাংবাদিক বলেন, লোকজন এর মধ্যে ইমরানকে ইলেক্টেড নয়, ‘সিলেক্টেড প্রাইম মিনিস্টার’ নামে ডাকতে শুরু করে দিয়েছেন।
রেহাম খান বলেন, ‘ক্ষমতার পথ সহজ নয়। পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে, দেশের সর্বোচ্চ পদে বসতে ইমরানকে কতভাবে আপস করতে হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তো প্রধানমন্ত্রিত্বের মুকুট উঠতে যাচ্ছে তাঁর মাথায়। এই মুকুট এতই চড়া দামে কিনতে হয়েছে যে সততা বিকোতে দ্বিধা করেননি ইমরান।
ভোটের পরদিন সকালে রেহাম খান ইমরানের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইটও করেন। তিনি লেখেন, ‘একটি ট্যাংকে চড়িয়ে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রী ভবনে পাঠিয়ে দিলে কী এমন সমস্যা হতো? ২০ কোটি মানুষকে শুধু শুধু বোকা বানানো! এটা আন্তর্জাতিক লজ্জা!’
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। নানা জটিলতার কারণে গত বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুটি আসনের ভোট হয়নি। নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ২৬৮টির অস্থায়ী ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই ১১৭ আসনে জয়লাভ করে এগিয়ে রয়েছে।