ইমরান খানের ক্যারিশমায় পাকিস্তানের অন্য সব বড় বড় রাজনৈতিক দল পিছিয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত যে ফল পাওয়া যাচ্ছে নির্বাচনের তাতে তার দল অন্যদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তার দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) এগিয়ে আছে ১১৪ আসনে। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এগিয়ে আছে ৬৪ আসনে। বাকিরা তার চেয়েও কম। তবে বিভিন্ন মিডিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে এককভাবে সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা ইমরান খান নাও পেতে পারেন।
সেক্ষেত্রে জোট গঠন করতে হবে তাকে। এককভাবে সরকার গঠন করতে হলে ২৭২ আসনের জাতীয় পরিষদে কমপক্ষে ১৩৭টি আসন পেতে হয়। ওদিকে দল এগিয়ে থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা বিজয় মিছিল করছেন। তারা উল্লাসে ফেটে পড়ছেন অল্প কয়েক বছরের একটি রাজনৈতিক দল বড় বড় মূলধারার রাজনৈতিক দলকে দৌড়ে পিছনে ফেলে দেয়ায়। বুধবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এদিন ভোট চলাকালে একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হন। এ অবস্থায়ই চলতে থাকে দেশজুড়ে ভোট গ্রহণ। শেষ হওয়ার পর ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হয় নি। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ইমরান খান বা নওয়াজ শরীফের দল কেউই জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। প্রথম দিকে স্থানীয় চারটি টেলিভিশন চ্যানেল খবর প্রকাশ করে যে, জাতীয় পরিষদের ২৭২ টি আসনের মধ্যে ইমরান খান পেতে পারে ৯৪ থেকে ১০২টি আসন। সেখানে নওয়াজ শরীফের দল পেতে পারে ৪০ থেকে ৫৮টি আসন। তখন পর্যন্ত মোট ভোটের মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ গণনা করা হয়েছে। ওদিকে অনলাইন ডন বলছে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শতকরা ৪৭ ভাগ ভোট গণনা করা হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে ইমরান খানের দল ১১৪ আসনে এগিয়ে আছে। পিএমএলএন এগিয়ে আছে ৬৪ আসনে।