স্বর্গ সুধা
মুনা আমি কৃষ্ণকলি
ওমর অক্ষর
এসো যুবক—
দু’হাতে পলাশ ফোটাই
ঘাম ঘাম ঘন বিন্দুর আবেগ ঝড়াই,
পা থেকে মাথা আর দুই ভ্র’র কৃষ্ণচূড়ায়…
– আচ্ছা বালিকা
তোমার হাত আমার হস্তে রাখো
আবেগ স্বপ্নে মেখে নাক নাসিকায় রাখো
কৃষ্ণচূড়াতো তোমার ওষ্ঠ অধরের ডগায়!
এসো প্রেমিক—
ভালোবাসার বীজ পুঁতে দিই,
হৃদয় জমিতে প্রেমভরা শ্রাবণে
অনাবিল ভালো লাগায়…
– এসেছি প্রেমিকা
ভুমিহীন চাষা হয়ে
শ্রাবণ ধারা নিয়ে
উর্বর জমি দাও শাবকের বীজ লাগায়!
এসো তৃষিত হৃদয়—
অনন্তকালের তৃষ্ণা মেটাই,
তোমার নাকে ছুঁইয়ে দিই
– এসেছিতো পিপাসা নিয়ে
চাই যৌবন ডেউয়ে ডুপ দিয়ে
নিমিত্ত নাক তোমার গন্ধের প্রতিরক্ষায়!
যৌবনলতার এক বুক স্বর্গ সুবাস…
কিংবা এসো চৈতালি ঠোঁটের বারান্দায়,
কামার্ত উষ্ণতায় বারুদ ঘষে আগুন জ্বালাই…
– যৌবনলতায় উষ্ণ রসের সন্ধি ঘটাও
ক্ষুধার্ত ঠোঁটে গভিরে আরো গভিরে যাও
চলো আলিঙ্গনে হারায় মাহাকালের স্বর্গ সুধায়!