ফুটবল বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে এখন জার্মান তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে জার্মানির ভরাডুবির পর অনেক উগ্রবাদী জার্মান সমর্থকই এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান।
এতোদিন এসব বিষয় গায়ে মাখেননি ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের জার্মান নায়ক।
মূলত ঘটনার শুরু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে ওজিলের সাক্ষাৎ নিয়ে। ওই ঘটনার জেরে জার্মানিতে ‘বর্ণবাদ এবং অসম্মানের’ শিকার হয়েছেন ওজিল। এই অভিযোগ তুলে তুর্কী বংশোদ্ভূত জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।
তারকা ফুটবলার ওজিলের সঙ্গে এমন ঘটনাকে দুঃখজনক বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে মত প্রকাশ করেছে ভারতের টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা।
ওজিলের পোস্ট করা একটি টুইট শেয়ার করে টুইটারে সানিয়া লেখেন, ‘একজন অ্যাথলিট হিসেবে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে মানুষ হিসেবে বর্ণবিদ্বেষের এই সব ঘটনা পড়তে কষ্ট হয়। তুমি একটি বিষয়ে একদম ঠিক ওজিল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন বর্ণবিদ্বেষ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া উচিৎ নয়। যদি এই সব ঘটনাগুলো সত্যি হয় তাহলে খুবই দুঃখজনক। ’
জার্মান হলেও পারিবারিক সূত্রে তুরস্কের সঙ্গে যুক্ত ওজিল বিশ্বকাপের ঠিক আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তাতেই বেজায় চটে যায় জার্মান ফুটবল সংস্থা।
কোচ জোয়াকিম লো কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন যে, বিশ্বকাপের আগে বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠক, ছবি তোলা, অটোগ্রাফ দেওয়া জার্সি উপহার, এসব তিনি বরদাস্ত করবেন না।
এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়ে ওজিল আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন। এবার নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করে ওজিল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে ছবি তোলা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। এর পিছনে নির্বাচনের কোনো প্রসঙ্গও ছিল না। এটা নিতান্তই আমার পরিবারের দেশের সর্বোচ্চ সরকারি ব্যক্তিত্বের প্রতি আমার সম্মান প্রদর্শন ছিল। ’
টুইটারে ওজিল আরও জানান, ‘আমি একজন ফুটবলার। রাজনীতিবিদ নই। আমার কাজ ফুটবল খেলা। সুতরাং আমাদের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল না। তবে এই ঘটনার জন্য জার্মান ফুটবল সংস্থার কাছ থেকে যে রকম ব্যবহার পেয়েছি এবং আরও অনেকেই যেভাবে অপদস্ত করেছে আমাকে, তাতে জার্মানির জার্সি গায়ে চাপিয়ে আমার পক্ষে আর মাঠে নামা সম্ভব নয়। ’