‘ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়ার’ অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলামের রিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় হাটহাজারী মডেল থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
ইফতেখারুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে চরম নোংরা ভাষায় কটুক্তি করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম। দেশের সংবিধান আমাদের মত ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, একই সাথে কাউকে কটূক্তির মাধ্যমে মানহানি করা বিষয়ে বিধিনিষেধও দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালনকারী দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি এর বিচার চেয়ে মামলাটি করেছি। কথিত কোটা সংস্কার আন্দোলন বিষয়ে ওই শিক্ষকের দেয়া কোনো পোস্টের বিরুদ্ধে আমি কোনো অভিযোগ আনিনি।
উক্ত মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছে সাবেক কমিটির উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার ও সাবেক উপ-সাহিত্য সম্পাদক ইমাম উদ্দিন পারভেজ ফয়সাল।
বুধবার হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মাইদুল ইসলামের এজাহারটি যাচাই বাছাই শেষে বুধবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও প্রধানমমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অভিযোগে মো. মাইদুল ইসলাম ও যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শাখা ছাত্রলীগ। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীকে স্মারকলিপি প্রদান করে। এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু নোমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তাদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা মানবন্ধন পরবর্তী শিক্ষক মাইদুলের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছে।