আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
ঢাকা: এবার সবাইকে টেক্কা দিলেন র্যাচেল স্টেভেনস। দিন কয়েক আগে এফএইচম যখন বিশ্বে সেরা শত যৌনাবাদেনময়ীর তালিকা করে তখন সেই তালিকায় সেরা হিসেবে আসেনি র্যাচেলের নাম। পুরুষদের দেওয়া সেবারের ভোটে র্যাচেল ছিলেন বেশ পিছিয়ে। কিন্তু সেরা দশ যৌনাবেদনময়ীর জন্য আবার যখন পুরুষদের ম্যাগাজিনটি ভোট নিলো তখন র্যাচেলকেই সবার ওপরে তুলে দিলেন ভোটাররা। তবে এবার কিন্তু এসময়ের সেরা যৌনাবেদনময়ী হিসেবে নয়, র্যাচেলকে তারা দেখছেন সবকালের সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী হিসেবে।
এর আগে সেরা দশে হ্যাট-ট্রিক রানার্সআপ হন এস ক্লাব সেভেনের এই সাবেক গায়িকা।
এফএইচএম’র পাঠকদের ভোটে র্যাচেল স্টেভেনসই সেরা। আর এই দৌড়ে তিনি পিছনে ফেলেছেন বাস্টি বিউটি খ্যাত কেলি ব্রুক আর অনেকেরই সুইটহার্ট শেরিল কোলকে।
সেরা যৌনাবেদনময়ী নির্বাচনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষেই এই সর্বকালের সেরা নির্বাচনে জরিপ চালায় এফএইচএম। আর অংশগ্রহণকারীরা ভোটে ৩৬ বছরের র্যাচেলের ফিগারকে সেরা আবেদনময়ী বলেছেন।
মাত্র ২ মাস আগে র্যাচেল তার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন। তবে এরই মধ্যে নতুন অর্জনকে সেলিব্রেট করতে এফএইচএমের জন্য আরেকবার নগ্ন হয়েছেন তিনি।
তাকে নিয়েই হচ্ছে পুরুষদের এই ম্যাগাজিনের এবারের কভার পৃষ্ঠা।
এই নিয়ে র্যাচেলকে এফএইচএম পাঠকরা কভার পৃষ্ঠায় আট বার পেলো। এর আগে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৪ এ শত যৌনাবেদনময়ীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন র্যাচেল। আর শত জনের তালিকায় তার স্থান হয়েছে সবমিলিয়ে ৮ বার।
সর্বকালের সেরা যৌনাবেদনময়ীদের তালিকায় এবার আর যারা স্থান পেয়েছেন তারা হচ্ছেন- দ্বিতীয় জেনিফার লোপেজ, তৃতীয় কেলি ব্রুক। অনেকের ভালোবাসার চোখ এখনো ব্রিটনি স্পেয়ার্সকে খোঁজে তার অবস্থান চত’র্থ। আর এক্স-ফ্যাক্টরের বিচারক হিসেবে শেরিল কোল আবারও অনেকের চোখে পড়ে, মনে ধরেছেন ফলে স্থান হয়েছে পঞ্চম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ যৌনাবেদনময়ী হিসেবে। হল বেরি অল্পের জন্য শেরিলের কাছে হেরে ষষ্ঠ, আর তার নিকটতম প্রতিযোগী জেনিফার অ্যানিস্টন। টেনিস তারকা আনা কুর্নিকোভার কথা কেউ ভোলেনি ফলে সেরা দশে তারও অবস্থান রয়েছে তবে অষ্টম। আর ব্রিটিশ ও মার্কিন মডেল কিলি হ্যাজেল আর জেনি ম্যাককার্থিকে ভোটাররা তুলে এনেছেন নবম ও দশম স্থানে। টুম্ব রেইডার অ্যাঞ্জেলিনা জলিকে অবশ্য অনেকেই ভোট করেছেন কিন্ত সেরা দশে তাকে তুলে আনতে পারেনি এফএইচএম।
এই বিশাল অর্জনের পর দুই মেয়ের মা র্যাচেল স্টেভেনসের কথা, মানুষ এখনো আমাকে একই চোখে দেখছে জেনে ভীষণ ভালো লাগছে।
২০০০ সালে ২২ বছর বয়সে পুরুষের ম্যাগাজিনে নিজেকে প্রথম মেলে ধরেন র্যাচেল স্টেভেনস। তিনি বলেন, সেই দিনটি ছিলো সত্তিই উত্তেজনার। তবে সময়ের ব্যবধানে আরও বড় হয়েছি, যৌনআবেদনও বেড়েছে।
এফএইচএম’র ডেপুটি এডিটর ড্যান জুড বলেন, র্যাচেলকে সেরা হতে দেখে ভালো লাগছে। ১৪ বছর ধরেই তিনি এফএইচএম’র একটি অংশ হয়ে আছেন। পাঠকরা তাদের মনেই ধরে রেখেছেন র্যাচেলকে।