খেলা: গায়েনাতে প্রথম একদিনের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের অনুপ্রেরণা দেয়া ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মোরতাজা নিজে বল হাতে নিয়ে এ জয়ে নেতৃত্ব দেন। তিনি ১০ ওভার বল করেন। রান দিয়েছেন ৩৭টি। আর এর বিনিময়ে পকেটে ভরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চারটি উইকেট। টেস্টে পরাজয়ের পর এটা ছিল বাংলাদেশ টিম যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
পুরো টিম নিজেদেরকে তুলে ধরেছে ক্রিকেটের সামনে। ম্যাচের শুরুতে তামিম ইকবাল ও শাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে জয়ের জন্য ভিত্তি রচনা করে দেন। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড তখন বলছে ২৭৯ রান ৪ উইকেটে। এরপরই ফিল্ডিংয়ের সময় বল হাতে বাঘের চোখের ক্ষিপ্রতা নিয়ে সামনে আসেন দলীয় অধিনায়ক, নড়াইল এক্সপ্রেস মাশরাফি। তার সঙ্গে যোগ দেন মেহেদি মিরাজ। তারা খুব কম রান দিয়ে বিপদের মুখে ফেলে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রথমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্গে হানা দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। তিনিই প্রথম খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। বেশ কয়েকটি টাইট ওভার বল করার পর নবম ওভারে তিনি তুলে নেন ইভিন লুইসের উইকেট। এরপরই আসেন পেসার রুবেল হোসেন। তিনি তুলে নেন শাই হোপকে। এতে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস আরো প্রবল হয়। কিন্তু ব্যাট হাতে তখনও দানবের মতো দাঁড়ানো সেই ক্রিকেটার ক্রিস গেইল। তিনি আস্তে আস্তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে থাকেন। কিন্তু এমন যখন অবস্থা তখন তিনি অকস্মাৎ রান-আউট হয়ে যান। আবার ম্যাচ ঘুরে যেতে থাকে। কারণ, ক্রিকেট দানব ক্রিস গেইলকে আউট করা মানে ম্যাচ বের করে আনা। তাকে হারিয়ে তৃতীয় উইকেটটি হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ব্যাট হাতে দাঁড়ান শিমরন হেটমায়ার। তিনি ৭৮ বলে করেন ৫২ রান। কিন্তু ৩৬তম ওভাবে তাকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের কাটার মুস্তাফিজুর রহমান। এর পরেই তার বল পাওয়েলের ব্যাট ছুঁয়ে যায়। ব্যাস করুণ এক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আবার ধারালো আক্রমণ নিয়ে ফিরে আসেন মাশরাফি। শেষ তিন ওভারে তিনি তুলে নেন আরো তিনটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৮ রানে পিছিয়ে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন টাইগাররা।