গাজীপুর অফিস: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গাজীপুর জেলা ও মহানগর কমিটির ছোট একটি অংশ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে অব্যহাত ভাবে চলছে প্রতিবাদ। দলীয় প্রধান বেগম জিয়ার মুক্তির দাবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবীও। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোষ্ট কমেন্টে ১০ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে কমিট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দলীয় নেত্রীর মুক্তি দাবী আন্দোলন, রুপ নিচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের আন্দোলনে।
এই নিয়ে ইতোমধ্যে জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল প্রতিবাদ সভা এমনকি দলীয় কার্যালয়ে তালা দেয়ার খবরও আসছে। এর আগে যুবদলের কমিটি নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ সময় পর ছাত্রদলের জেলা ও মহানগরের কয়েকটি পদে কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ত্যাগী কর্মী নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে জেলার নেতাদের পিছন পিছন ঘুরছেন তাদের অনেকেই পদ পাননি। কেউ কেউ গরু বিক্রি করেও নেতাদের পিছনে টাকা উড়িয়েছেন বলেও তথ্য আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র নেতারা বলছেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর হক মিলন দলে তার অনুগত লোকদেরকে নেতা বানানোর অংশ হিসেবে ছাত্র দল ও যুবদলের কমিটি করছেন। এই ধরণের কমিটি হতে থাকলে গাজীপুরে বিএনপির অভ্যন্তরে কোন্দল আরো বাড়বে। একই সঙ্গে আন্দোলন সংগ্রামও জমবে না।
ত্যাগী কর্মীদের দাবী, ঘোষিত কমিটি বাতিল করে সবাইকে নিয়ে গ্রহনযোগ্য কমিটি দেয়া না হলে আন্দোলন আরো বেগবান হবে।