বাগেরহাট জেলায় গত দুই বছরে দ্বিগুণেরও অধিক সাদা মাছ ও চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। বাগেরহাট জেলায় বার্ষিক মাছের চাহিদা ৩১ হাজার ৩৪৬ মেট্রিক টন হলেও গত বছরে এ জেলায় বিভিন্ন প্রকারে মাছ উৎপাদন হয়েছে ৮৫ হাজার ৩২৭.২৩ মেট্রিক টন।
বাগেরহাট জেলায় চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদিত সাদা মাছ ও চিংড়ি দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এ ছাড়াও রপ্তানি পন্য শিলা কাঁকড়ার উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন। বাগেরহাট জেলা মৎস্য বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী আজ বুধবার বিকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার ৪১টি নদী, ৫৪৭টি খাল, ২২টি বিল, ১টি হাওড়, সরকারী ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩৫ হাজার ২৮২টি পুকুর ও গলদা এবং বাগদা চিংড়ির ৭৮ হাজার ৭০৯টি খামারসহ সুন্দরবনের জলভাগে গত অর্থ বছরে ৮৫ হাজার ৩২৭.২৩ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রকারে মাছ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্যে গলদা ও বাগদা চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৩১ হাজার ৭২২.৯৬ মেট্রিক টন, সাদামাছ ৫১ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন ও ইলিশ ৪ হাজার ৩ শত মেট্রিক টন। এছাড়া ২ হাজার ৫৯২টি খামারে রপ্তানী পন্য শিলা কাঁকড়ার উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৯৫৩ মেট্রিক টন।