অসম থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গি শাহনুর আলমকে জেরা করে আরও ১৩ জঙ্গি দম্পতির খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসল তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে ওই জঙ্গি দম্পতিদের খোঁজ পেতে বিভিন্ন সূত্র ধরে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ধৃত সাজিদ শেখকে জেরা করেই শাহনুর সম্পর্কে তথ্য পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। জাতীয় তদন্ত সংস্থার দেওয়া সেই তথ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত গত কয়েকদিন আগে শাহনুরকে অসমের নলবাড়ি জেলা থেকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। তাকে জেরা করে তদন্তকারীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে তাঁদের। শাহনুর আলম দীর্ঘ জেরায় জানিয়েছে, অসমে অন্তত ৫০টি পরিবার জেএমবিতে নাম লিখিয়েছিল। এখন আরও ১০ জন জামাত পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া এই রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে। এমনকী, বাংলাদেশ থেকে আসা জেএমবি অনুগামীরা অসমের ওই তিন জেলায় তরুণীদের বিয়ে করে বসবাস শুরু করেছিল। তাদের প্রতি সন্দেহের অবকাশ থাকবে না ধরেই এই বৈবাহিক সম্পর্কের আড়াল নেওয়া হয়েছিল বলে অসম পুলিশকে শাহনুর জানিয়েছে। অসমে ধরা পড়া শাহনুরের স্ত্রী সুজেনা বেগমও জেএমবির অন্যতম নেত্রী। কয়েকদিন আগে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রয়োজনে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করার কথা ভাবছেন তদন্তকারীরা। তার আগে অবশ্য রাজ্যে লুকিয়ে থাকা অন্য জঙ্গি দম্পতিদের খোঁজ পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।