গণপিটুনির মতো ভয়ঙ্কর কাজ কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। একথা জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
গণপিটুনি রোধে নতুন আইন প্রণয়নের বিষয়েও কেন্দ্রকে চিন্তাভাবনা করার কথা বলেছেন শীর্ষ আদালত।
সাম্প্রতিককালে ভারতের একাধিক জায়গায় গোরক্ষা, শিশুচুরি কিংবা অন্য কোন গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনি এবং হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়- কোন নাগরিকেরই তাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এজন্য সরকার রয়েছে।
তুষার গান্ধী, তহসিন পুনওয়ালাসহ কয়েকজন ব্যক্তির দায়ের করা একটি মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দেশটির প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, ‘দেশের বহুত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। জনগণের বিচারকে কখনওই আইন সিদ্ধ করা যায় না। শক্ত হাতেই এই প্রবণতার মোকাবিলা করতে হবে’।
শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কেন্দ্র ও সমস্ত রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলেছে, ‘আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা রিপোর্ট আকারে আদালতের কাছে জানাতে হবে এবং তাদেরকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায় নিতে হবে। সরকার এব্যাপারে উদাসীন হয়ে থাকতে পারে না।
প্রয়োজনে গণপিটুনির জন্যই আলাদা আইন তৈরি করুক সংসদ। দেশটির রাজ্যগুলিকেও একইভাবে পৃথক আইন আনার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।