রাশিয়ায় বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বজয় করেছে ফ্রান্স। ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় রেফারির ডাকা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক উঠেছে।
সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সমালোচনা করছেন ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড রিভালদো, স্প্যানিশ লিজেন্ড ইকার ক্যাসিয়াস এবং উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজরাও। তাদের অভিমত, ফাইনালের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এই পেনাল্টি না দিলেও চলতো।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কর্নার কিক থেকে আসা বল ক্রোয়েশিয়ার তারকা ইভান পেরেসিচ ক্লিয়ার করতে গেলে তার হাতে লেগে যায়। তখন ফরাসি খেলোয়াড়দের আবেদন শুনে আর্জেন্টিনার রেফারি নেস্তর পিতানা ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। আর ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সফলভাবে গোলটি আদায় করে নেন আঁতোয়া গ্রিজমান।
ম্যাচের প্রথম থেকে ক্রোয়েশিয়া দারুণ গোছানো ফুটবল খেললেও এই গোলটির পরই তাদের ছন্নছাড়া দেখা যায়।
সমালোচকরা বলছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে বল হাতে লাগায় পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকলেও তা না হওয়ায় ক্রোয়েটরা পিছিয়ে গেছে। ওই পেনাল্টির সিদ্ধান্তই ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। মনোবল ভেঙে গেছে তাদের।
যেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। ফলে ম্যাচে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছে লুকা মদ্রিচ-ইভান রাকিটিচদের।
ব্রাজিলিয়ান সাবেক তারকা রিভালদো তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘ফ্রান্স এমন এক গোলে লিড পেয়েছে, যেটা না দিলেও চলতো, কারণ ওটা ফাউল ছিল না। বিশ্বকাপের ফাইনালে রেফারির কাছ থেকে এ ধরনের ভুল আশা করা যায় না। এটা ক্রোয়েশিয়ানদের শেষ করে দিয়েছে বলে আমার মনে হয়। ’
টুইটারে প্রায় একই সুরে পোস্ট দিয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। তিনি বলেন, ‘সত্যিই আমি ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি বুঝি না। রেফারি গ্রিজমানের সঙ্গে ফাউলের জন্য বাঁশি বাজালেন, অথচ তা তেমন ছিল না। ফ্রান্সের গোল সেখান থেকেই এসেছে এবং এটা কিছুই হলো না। ’
ক্যাসিয়াসের এই পোস্ট রিটুইট করে উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ বলেন, ‘তুমি ঠিক বলেছো ক্যাসিয়াস এবং ওই সময় পল পগবার অফসাইডও খেলায় ‘অবদান’ রেখেছে।