রাশিয়া বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখিয়ে চলেছে ক্রোয়েশিয়া। এরইমধ্যে বিশ্ব ফুটবলকে অবাক করে ফাইনালে পৌঁছে গেছে লুকা মদ্রিচের দল।
তবে ইতিহাস গড়ে দল যখন বিশ্বকাপ আসরের ফাইনালে তখন তার সাক্ষী হতে পারলেন না ক্রোয়োশিয়ার বর্ষীয়ান ফরোয়ার্ড নিকোলা কালিনিচ। রবিবার যখন মস্কোর লুজনিকি’তে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামবে ক্রোয়েশিয়া, তখন রাশিয়া থেকে বহুদূরে সোলিনে থাকবেন কালিনিচ। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যখন মাঠে নামবেন মাদ্রিচ, পেরিসিচরা তখন টেলিভিশনের পর্দায় সতীর্থদের খেলা দেখতে হবে তাকে। বিশ্বকাপের এই স্মরণীয় ফাইনাল তার কাছে হয়ে থাকবে ‘বিরহের স্মৃতি’!
বিশ্বকাপ চলাকালীনই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার কালিনিচকে দেশে পাঠিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। তাই রিজার্ভ বেঞ্চেও জায়গা হয়নি তার।
ঘটনার সূত্রপাত নাইজেরিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে। খেলা তখন দ্বিতীয়ার্ধে গড়িয়েছে। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে মাঠে নামতে বলেছিলেন কোচ ডালিচ। কোচের কথা অমান্য করেন কালিনিচ।
চোট রয়েছে, এই কারণ দেখিয়েই মাঠে নামতে অস্বীকার করেন তিনি।
তবে তার চোটের কথা বিশ্বাযোগ্য বলে মনেই হয়নি কোচ এবং বাকি খেলোয়াড়দের। এরপরই মারিও মানজুকিচের ব্যাক-আপ হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া নিকোলা কালিনিচকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ক্রোয়েশিয়া ম্যানেজমেন্ট। যার ফল স্বরূপ বিশ্বকাপের স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যায় তার।