স্বপ্নে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবীর দুই ঘন্টা পর জড়িমানা

Slider ঢাকা

Swapno

গাজীপুর: কাঁচা আম বিক্রির অভিযোগে স্বপ্ন সুপার শপের গাজীপুরের একটি শাখাকে ভোক্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই ঘটনার দুই ঘন্টা আগে সাংবাদিক পরিচয়ে দুই ব্যাক্তি ১০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে পরিস্থিতি খারাপ দেখে পালিয়ে যায়।

বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে মহানগরীর জোড়পুকুর সড়কে অবস্থিত স্বপ্ন সুপার শপের ওই শাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের গাজীপুরের সহকারি পরিচালক রিনা বেগম এ অর্থদণ্ড দেন।

তিনি গ্রামবাংলানিউজকে বলেন, এক আম ক্রেতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে তাকে রাখা অবশিষ্ট আম জব্দ করা হয়নি।

আমের ক্রেতার পরিচয় জাইতে চাইলে তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ স্যার আমাকে অভিযান করতে পাঠিয়েছেন। কয়েকদিন আগে একজন অভিযোগ দিয়েছিল।

ক্রেতা কত কেজি আম কিনেছিল জানতে চাইলে সহকারি পরিচালক বলেন, “স্বপ্নের লোকেরাও তো সব স্বীকার করেছে। আম খেয়ে অভিযোগকারীর বাচ্চার শরীর ফুলে গেছে। কয়েকদিন আগে এখান থেকে আমিও এমন আম কিনেছিলাম। আমার একই সমস্যা হয়েছিল।”

স্বপ্নের বিক্রয় কর্মীরা নাম গোপনের শর্তে গ্রামবাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন, এক ক্রেতা গত ৬ জুলাই ১ কেজি ৬০০ গ্রাম ফজলি আম ৫২ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন। পাঁচদিন পর আম খেয়ে তার মেয়ের ঠোঁট ফুলে গেছে বলে জানান।

তাদের অভিযোগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান পরিচালনার প্রায় দুঘণ্টা আগে স্বপ্নের এই শাখায় ক্যামেরা হাতে সাংবাদিক পরিচয়ে দুই প্রতারক ঢুকেন। তখন তারা একটি স্যাটেলাইট টিভির (খবরের চ্যানেল) সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় এক বিক্রয়কর্মী পরিচিত একজন সাংবাদিককে বিষয়টি ফোন করে জানালে দুই প্রতারক দ্রুত চলে যান।

এ বিষয়ে রিনা বেগম বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে বলেন, স্বপ্নের লোকরা বিষয়টি আমাকে বলেনি। বললে অন্যভাবে বিবেচনা করতাম। ফুটেজ দেখতাম। বরং অভিযোগকারী পাল্টা বলতেছিল স্বপ্নে আম ফেরত দিতে গেলে তাকে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীর নাম অফিসের ফাইলে আছে। তিনি মূলত ডিসি অফিসেই অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন।

আমের সমস্যা কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমটা দেখেছি অপরিপক্ক। নষ্ট টাইপেরও কিছু আম ছিল। সার্বিক দিক বিবেচনা করেই জরিমানা করা হয়েছে। তবে কোনো আম জব্দ করা হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।

আম হাতে ধরে বা খালি চোখে দেখে পরীক্ষা করেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখেই সনাক্ত করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *