কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী হচ্ছে রোহিঙ্গা। একটা জাতিকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়, রোহিঙ্গা হচ্ছে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী রোহিঙ্গাদের বহন করছে। মানবিক কারণে তাদেরকে আশ্রয় দেয়া হলেও এই বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’
বুধবার দুপুরে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ‘অ্যান ওভারভিউ অব দ্য রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান লাইব্রেরি হলে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ফজলুর রব তানভীরের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক শিব প্রসাদ সেন উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিজেদের পক্ষে টানতে পারেনি উল্লেখ করে মেজর জেনারেল আসহাব বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত, চীন, রাশিয়া কাউকেই পাশে পায়নি বাংলাদেশ। সময় গড়ানোর সাথে সাথে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় এক সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই ইস্যুতে তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, ইউএনএইচসিআর, ওআইসি, ভারত, চিন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া সবাইকে যুক্ত করতে হবে। কারণ এটা শুধু আমাদের সমস্যা নয়, এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা। ’
আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি আর্মি (আরসা) এর প্রসঙ্গে আসহাব বলেন, ‘আরসার সদস্য দুই-তিনশ।
এদের কাছে উন্নতমানের কোন অস্ত্রও নেই। এরা ২০১৬ সালে মিয়ানামার সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়। ওই হামলার পর রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর হামলা চালায় সেনাবাহিনী। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের কাছে উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্র নেই, তারা কেন আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সেনা ক্যাম্পে হামলা চালালো। আমার ব্যক্তিগত মত, এই আরসা সৃষ্টি করেছে মিয়ানামার সেনাবাহিনী। যাতে এদের দোহাই দিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালাতে পারে।