বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য ছোট গল্প সমুহের মধ্যে অন্যতম ‘মধ্যবর্তিনী’। এর প্রধান চরিত্র তিনটি। নিবারণ, হরসুন্দরী ও শৈলবালা। তাদের বয়স, জীবন দর্শন, উপলব্দি প্রকাশের ভিন্নতা পৃথক করেছে প্রত্যেককে। তাই এক এক দৃষ্টিকোণ থেকে চরিত্রগুলির যেমন বিচিত্রতা খুঁজে পাওয়া যায় তেমনি তারা হয়ে ওঠে সমকালীন।
রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প অবলম্বনে আহমেদ হীরক খানের চিত্রনাট্য ও রাজু খানের পরিচালনায় প্রচারে আসছে দীপ্ত টিভির ধারাবাহিক নাটক ‘মধ্যবর্তিনী’।৭৫ পর্বের এই ধারাবাহিকটি আসছে ১৪ জুলাই থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা এবং রাত ৮ঃ৩০ মিনিটে প্রচার করা হবে।
এই নাটকে আনিসুর রহমান মিলন এবং সোহানা সাবা অভিনয় করেছেন নিবারণ ও হরসুন্দরীর চরিত্রে।
এই নাটকে মিলন ও সাবার সঙ্গে শৈলবালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। এ প্রসঙ্গে আখিঁ বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে এর আগেও কাজ করেছি। তারপরও এটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল। অন্যান্য গল্প থেকে এগুলোর কথা বলার ধরন, গেটআপ সবকিছুই আলাদা। বলা যায় সম্পূর্ণ নতুনরূপে নিজেকে তৈরি করেছি। এ নাটকে আমাকে একদমই নতুন চরিত্রে দেখা যাবে।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে- নিবারণ খুবই সহজ ও সাদাসিধে একটা মানুষ হলেও তার স্ত্রী হরসুন্দরী বেশ ধৈর্যশীলা। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হওয়া সত্ত্বেও কোথায় যেন এক শূন্যতা ছিল। হরসুন্দরী উপলব্দি করে, এ ঘরের শুন্যতা একটা শিশু যা ধারণের সামর্থ্য তার নেই। সে তখন নিবারণকে আরেকটি বিয়ের জন্য তাড়া দিতে থাকে।
স্বভাবতই প্রথমদিকে নিবারণ এ ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করে কিন্তু ক্রমাগত তাড়ার মুখে পড়ে সে বিয়ে করতে রাজি হয়। একসময় সে কিশোরী, সুকুমারী, সুন্দরী শৈলবালাকে বিয়ে করে ঘরে তোলে। শুরু হয় নতুন গল্প।