২১ বছর পর পিতৃপরিচয়ের দাবি নিয়ে বাবার মুখোমুখি মেয়ে

Slider গ্রাম বাংলা

221646_bangladesh_pratidin_bdp_bhola-news-map

মাত্র ৪ মাস বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। মা নুরভানু ওরফে লাবলী বেগম বিয়ে করে অন্যত্র সংসারী হয়েছেন।

বাবাও ঠিক তাই। দু’জনের দুই গন্তব্যের মাঝখানে শিশু কাকলীর আশ্রয় হয়েছে নানা-নানির কাছে। সেখানে থেকেই লেখাপড়া করে বড় হয়েছেন কাকলী। হুমায়ুন কবির নামে একজনকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন কাকলী। কিন্ত সামাজিক কারণে স্বামী সংসারে পিতৃ পরিচয় ইস্যু বড় হয়ে উঠেছে। ফলে দীর্ঘ ২১ বছর পর পিতৃ পরিচয়ের দাবি নিয়ে মেয়ে কাকলী তার বাবা জামাল হোসেনের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু এত বছর পর অজ্ঞাত কারণে বাবা মেয়ের পরিচয় দিতে অস্বীকার করেছেন। নিরুপায় মেয়ে কাকলী পিতৃপরিচয়, লেখাপড়ার খরচ এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত লেখা পড়াসহ ভরপোষের ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দাবি করে ভোলার চরফ্যাশন যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
চরফ্যাশনের দক্ষিণ ফ্যাশন গ্রামের ইব্রাহীম বেপারীর ছেলে জামাল হোসেন।

বর্তমানে বরিশাল বিমান বন্দর থানার রায়পাশা ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক তিনি। অপরদিকে একই গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে নুরভানু ওরফে লাবলী। বর্তমানে দুলাল নামে এক ব্যক্তির ঘরনী এই নুরভানু।
জামাল-নুরভানুর গল্পের শুরু ১৯৯৪ সনে। নুরভানু তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। যার প্রেমে জড়িয়ে পড়েন জামাল হোসেন। দু’জনের সম্মতিতে দুই পরিবারের মধ্যস্থতায় ১৯৯৬ সনের ৩ ফেব্রুয়ারি জামাল-নুরভানুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১৯৯৭ সনের ১৫ জুলাই তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান কাকলীর জম্ম হয়। কাকলীর ৪ মাস বয়সে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। তারপর শিশু কাকলী নানা-নানির আশ্রয়ে লেখাপড়া করে বড় হয়ে বর্তমানে হুমায়ূন কবির নামে জনৈক ব্যক্তিকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন।

দীর্ঘ ২১ বছর নানা-নানি পরম যত্মে বড় হওয়া কাকলী অভাব অনটন দেখেননি। বাবাও কোনদিন মেয়ের খোঁজ-খবর নেননি। ফলে অনেকটা অভিমানে কাকলী কোনদিন কোন প্রয়োজনে বাবার মুখোমুখি হননি। কিন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর এইচএসসি পাশ কাকলী বিয়ে করেছেন। স্বামীর সংসার থেকে তাঁর পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিচয় সংকট কাকলীর দাম্পত্য জীবনে কালোছায়া ফেলেছে। ফলে পিতৃপরিচয়ের দাবী নিয়ে কাকলী ছুঁটে গেছেন বাবা জামাল হোসেনের কাছে। কিন্ত জামাল হোসেন কাকলীর পিতৃপরিচয় অস্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *