ঢাকা: শোনা যাচ্ছে, কাল শনিবার দীর্ঘদিনের বান্ধবী ও অভিনেত্রী মাদালশা শর্মাকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মিমো। দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই মিমো ও মাদালশার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। এদিকে মিমো তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মুম্বাইয়ের উচ্চ আদালতে। সেই আবেদন নাকচ হওয়ায় যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে এনডিটিভি।
ধারণা করা হচ্ছে, জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় দু-এক দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার হতে পারেন মিমো। গ্রেপ্তারের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চাইছে দুই পরিবার। মাদালশা শর্মা নাকি তাঁর হবু বরের প্রতি পুরোপুরি আস্থাশীল। নিজের বিয়ে নিয়ে খুশিও। তিনি জানিয়েছেন, বিয়েটা সাধারণভাবেই হচ্ছে। ইচ্ছে ছিল ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের’। তেমনটাই হচ্ছে। পরিবারের কাছের মানুষদের নিয়েই এই আয়োজন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মিমো ও মাদালশার বিয়ের স্থান যতটা সম্ভব গোপনই রাখা হচ্ছে।
মিমো চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক প্রেমিকা ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। এই নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিমো তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে মিমোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সপ্তাহে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগে মিমোর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন দিল্লির আদালত। অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ রয়েছে মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালির নামেও। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিযোগকারীর আইনজীবী রবি সোনি।
আজ শুক্রবার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেছেন, চার বছর ধরে অভিযোগকারী অভিনেত্রীর সঙ্গে পরিচয় ছিল মিমোর। সুযোগমতো মিমো তাঁকে হেনস্তা ও প্রতারণা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, সাবেক প্রেমিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিও নাকি দিয়েছিলেন মিমো। কিন্তু পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। ওই অভিনেত্রী আরও অভিযোগ করেন, মিমোর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্কের পর বিষয়টি জানাজানি হলে মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালির নির্দেশে গর্ভপাতও করানো হয়। শুধু তা-ই নয়, মুম্বাই ছেড়ে যাওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত নাকি মুম্বাই ছেড়ে তিনি দিল্লি চলে যান। কোনো উপায় না দেখে পরে আদালতের শরণাপন্ন হন।
আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মিমো গ্রেপ্তার হতে পারেন জানিয়ে অভিযোগকারী অভিনেত্রীর আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল এখনো মিমোকে বিয়ে করতে রাজি আছেন। কিন্তু চক্রবর্তী পরিবার এই বিয়েতে রাজি নয়। ফলে দু-তিন দিনের মধ্যেই মিমোকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আমি আরও জানতে পেরেছি, মিমোর আইনজীবী আগাম জামিনের জন্য মুম্বাই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি।’
মিমো ২০০৮ সালে ‘জিমি’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। এখন তাঁর বয়স ৩৩ বছর। মিমো ইতিমধ্যে বলিউডের আটটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে সাতটি হিন্দি আর একটি বাংলা ছবি। হিন্দি ছবিগুলো হলো ‘জিমি’, ‘দ্য মার্ডার’, ‘হান্টেড’, ‘লুট’, ‘রকি’, ‘এনিমি’, ‘টুক্কা ফিট’ ও ‘ইসকিদরিয়া’। আর বাংলা ছবিটি হলো ‘রকি’।