উত্তরা থেকে ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

DSC_9593

মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন ; উত্তরা প্রতিনিধিঃ রাজধানীর উত্তরা থেকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও ডাকাত চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্যকে ৩টি বিদেশী অস্ত্র ১৬ রাউন্ডসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব-১) সদস্যরা।

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলো- সাগর বারুই (৩৫), মোঃ রুবেল (৩৫), মোঃ বাবুল ওরফে বাবু (৩৬), মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৫), স্বপন মাহমুদ (৪৯), মোঃ ইউসুফ আলী (২৮) ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৮)। এসময় র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন, ১ টি বিদেশী রিভলবার, ১৬ রাউন্ড গুলি, ২ টি মটরসাইকেল, ৭ টি মোবাইল ফোন ও নগদ দুই হাজার তিনশত টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সকলেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য । তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরাস্থ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে টাকা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে পেশাদার ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা একত্রিত হচেছ এমন খবরে র‌্যাব-১ উত্তরা একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে ৩টি বিদেশী অস্ত্র,গুলি সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। র‌্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো: জিমানুর রহমান ভুঁইয়া আজ বৃহস্পতিবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রকিবুজ্জামান সাংবাদিকদের সাথে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রকিবুজ্জামান সাংবাদিকদেরকে জানান, গত ১৩ মে ২০১৮ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০৩০ ঘটিকায় গাজীপুর জেলার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার উনিশে টাওয়ারের নীচে রবি ও বিকাশের এজেন্ট মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ (২৮) ও ইকবাল হোসেন (৩৯) দ্বয়কে কতিপয় অজ্ঞাত ছিনতাইকারী গুলি করে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

এসময় একই প্রতিষ্ঠানের সুমন মলিক নামের একজন কর্মী আহত হয়। চান্দনা চৌরাস্তাা গ্রেটওয়াল হাউজিং সোসাইটির নিজ প্রতিষ্ঠান জমাদ্দার এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক পদে মোঃ আসাদুর রহমান আসাদ ও সহকারী হিসাবরক্ষক পদে ইকবাল হোসেন এবং স্টোর ম্যানেজার পদে সুমন মল্লিক নিয়োজিত। জমাদ্দার এন্টারপ্রাইজ একটি রবি ও বিকাশ এজেন্ট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। ঘটনার দিন ভিকটিম আসাদ, ইকবাল ও সুমন প্রতিষ্ঠানের ১৫ লক্ষ টাকা নিকটস্থ ইউসিবি ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য উনিশে টাওয়ারের নীচে পৌছালে পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা তাদের গতিরোধ করে। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আসাদ ও ইকবালের নিকটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আসাদ ও ইকবালকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আসাদ পেটে ও ইকবাল পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় এবং সুমন পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়।

র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রকিবুজ্জামান বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ৪ জুলাই ২০১৮ তারিখ ছিনতাইকারী চক্রটি রাজধানীর উত্তরাস্থ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে টাকা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৪ জুলাই ২০১৮ তারিখ আনুমানিক ১৩৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য ১) সাগর বারুই (৩৫), পিতা- শ্যামল বরাই, সাং- নারিকেল বাড়ি, থানা- কোটালিপাড়া, জেলা- গোপালগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানাঃ আনসার ক্যাম্প, মিরপুর-১, ডিএমপি, ঢাকা,২) মোঃ রুবেল (৩৫), পিতা- আব্দুস সোবহান পেয়াদা, সাং- পখিরা, থানা ও জেলা- মাদারিপুর, বর্তমান ঠিকানাঃ আলীর ঘাট (বিল্লাল মিয়ার ভাড়াটিয়া), ইসলামবাগ, লালবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, ৩) মোঃ বাবুল ওরফে বাবু (৩৬), পিতা- আবেদ আলী, সাং- পালের চর, থানা- জাজিয়া, জেলা- শরিয়তপুর, বর্তমান ঠিকানাঃ পূর্ব রসুলপুর, থানা- কামরাঙ্গির চর, ডিএমপি, ঢাকা, ৪) মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা- মোঃ জজ মিয়া, সাং- দুলালপুর, থানা- হোমনা, জেলা- কুমিল্লা, বর্তমান ঠিকানাঃ দক্ষিণ গাওয়াইর (জালাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া), আশকোনা, দক্ষিণখান, ডিএমপি, ঢাকা, ৫) স্বপন মাহমুদ (৪৯), পিতা- মৃত শতিস দাশ, সাং- গুঠিয়া, থানা- উজিরপুর, জেলা- বরিশাল, বর্তমান ঠিকানাঃ উত্তর পাড়া, খিলক্ষেত, ডিএমপি, ঢাকা, ৬) মোঃ ইউসুফ আলী (২৮), পিতা- মোঃ সাত্তার খান, সাং- কোল চর, থানা- বাবুগঞ্জ, জেলা- বরিশাল, বর্তমান ঠিকানাঃ ফুলবাড়িয়া, শোভাপুর, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা এবং ৭) মোঃ আনোয়ার হোসেন (২৮), পিতা- মোঃ ইউসুফ আলী, সাং- বনবিভাগ, থানা ও জেলা- নীলফামারি, বর্তমান ঠিকানাঃ কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া, আশুলিয়া, ডিএমপি, ঢাকা’দেরকে গ্রেফতার করা করে। এসময় গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ২ টি ম্যাগাজিন, ১ টি বিদেশী রিভলবার, ১৬ রাউন্ড গুলি, ২ টি মটরসাইকেল, ৭ টি মোবাইল ফোন ও নগদ দুই হাজার তিনশত টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সকলেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে।
তিনি সাংবাদিকদেরকে আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইকারী চক্রটির প্রধান সাগর ও তার অন্যান্য সহযোগীরা গত ১৩ মে ২০১৮ ইং তারিখে গাজীপুর জেলার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার উনিশে টাওয়ারের নীচে রবি ও বিকাশের দুইজন এজেন্ট কর্মীকে গুলি করে ১৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই কাজের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সাগর আরও জানায় যে, তারা বিগত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই করার জন্য প্রস্তুতি নিলেও বিভিন্ন কারণে সফল হতে পারেনি। পরবর্তীতে উত্তরাস্থ এমএইচ প্লাজায় অবস্থিত একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরীচ্যুত কর্মচারী জনৈক রানার সহযোগীতায় বর্ণিত স্থানে ছিনতাই করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। রানা ছিনতাইকারী চক্রটির সদস্য বাবুকে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক লেনদেনের কথা জানায় এবং বাবু বিষয়টি সাগরকে জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত সাগর (৩৫) পেশায় একজন মুহুরি। সে ২০০০ সাল হতে এই পেশায় নিয়োজিত আছে। ২০১৩ সালে সাগরের জনৈক বেনজামিন এর সাথে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে বেনজামিনের মাধ্যমে জনৈক আনোয়ারের সাথে তার পরিচয় হয় এবং ছিনতাই চক্রে যোগ দেয়। ২০১৭ সালে আনোয়ার আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়ে নিহত হলে সাগর ছিনতাই চক্রটির নেতৃত্ব দেয়। সে ইতোপূর্বে ডাকাতি ও ছিনতাই মামলায় দুইবার জেলে যায় এবং প্রথম বার সাত মাস ও দ্বিতীয়বার দুই মাস কারাবাস শেষে জামিনে বেরিয়ে আসে। জেলে থাকাকালীন সময়ে গ্রেফতারকৃত সাগরের সাথে ছিনতাই চক্রের অপর সদস্য আনোয়ার ও কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয় এবং সে তাদের তার চক্রে যোগদানের কথা জানায়। জেল হতে বের হয়ে আসামী সাগর অনেক ছিনতাই কাজে অংশ নেয় এবং সকল কাজে সে নেতৃত্ব দেয়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজর রকিবুজ্জামান বলেন, গ্রেফতারকৃত মোঃ রুবেল (৩৫) পেশায় একজন দর্জি। রাজধানীর নিউমার্কেটের গাউছিয়া মার্কেটে দর্জির কাজ করে। সে আনুমানিক ২০ বছর আগে ঢাকায় আসে। ২০১৭ সালে আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়ে নিহত ছিনতাই চক্রের সদস্য আনোয়ার এর মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত রুবেল এই চক্রটিতে যোগ দেয় এবং নিয়মিত ছিনতাই কাজে অংশগ্রহন করে। গ্রেফতারকৃত সাগর ও রুবেল পরস্পর যোগসাজসে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি ক্রয় করে ছিনতাই কাজে ব্যবহার করে বলে স্বীকার করে। এক্ষেত্রে অস্ত্র সরবারহকারী ছিনতাইকৃত অর্থের দ্বিগুন টাকা নেয় বলে সে জানায়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত মোঃ বাবুল ওরফে বাবু পেশায় একজন সেলস্ম্যান। সে নিউমার্কেটের চাঁদনি মার্কেটে একটি দোকানে সেলস্ম্যানের কাজ করে। কাজের সূত্র ধরে একই মার্কেটে কর্মরত রুবেলের সাথে তার পরিচয় হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া ও সাভারে একাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা থাকায় হাইকোর্টের মুহুরী সাগরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাগর ও রুবেলের মাধ্যমেই সে ছিনতাই চক্রে যোগ দেয়। বাবু ডাকাতি ও ছিনতাই মামলায় মোট ১৭ মাস কারাভোগ করে বলে স্বীকার করে।
প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেফতারকৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন পেশায় একজন গাড়ি চালক। সে ২০০৫ সালে ঢাকায় আসে। সে বিমানবন্দর এলাকায় ভাড়ায় টেক্সিক্যাব চালায়। আনোয়ার একজন মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসার দায়ে একবার জেলে যায় এবং সেখানে তার সাগরের সাথে পরিচয় হয়। দুই মাস পর জেল থেকে বের হয়ে আনোয়ার ও সাগরের সাথে তার ছিনতাইচক্রে যোগ দেয় এবং নিয়মিত তার সাথে ছিনতাই কাজে অংশ নেয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত স্বপন মাহমুদ পেশায় একজন জমির দালাল। সে ১৯৮৮ সালে বরিশালের সরকারী চাখার এ কে ফজলুল হক কলেজ হতে বিএ পাশ করে। ১৯৮৮ সালে আসামী স্বপন ঢাকায় আসে এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত চাকুরী করে। পরবর্তীতে সে সৌদি আরব গমন করে এবং প্রতারনার শিকার হয়ে ৪ মাস পর দেশে ফিরে আসে। সে ২০১৬ সালে সাগর, বাবু ও রুবেলের সাথে ডাকাতি ও ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার হয়। সে ছিনতাই চক্রটির টার্গেট সংগ্রহকারীর কাজ করত বলে স্বীকার করে।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত ইউসুফ আলী ওরফে রানা পেশায় একজন পোশাককর্মী। ২০০৮ সালে সে ঢাকায় আসে এবং সাভারে সোয়েটার গার্মেন্টসে দীর্ঘদিন শ্রমিকের কাজ করে। পরবর্তীতে সে সহকারী ঠিকাদারের কাজ শুরু করে। কাজের সূত্র ধরে ২০১৭ সালে আশুলিয়ায় পুলিশের সাথে গুলিবিনিময়ে নিহত আনোয়ারের সাথে তার পরিচয় হয় এবং তার মাধ্যমে অধিক অর্থ উপার্জনের লোভে এই চক্রের সাথে জড়িয়ে পরে।
র‌্যাবের কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারকৃত মোঃ আনোয়ার হোসেন পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী। সে ২০০৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর ২০০৪ সালে ঢাকায় এসে একটি গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। ২০১০ সালের দিকে সে নিজ জেলা নীলফামারিতে সোয়েটার ফ্যাক্টরী খোলে। ২০১৩ সালে বিভিন্ন কারণে তার ফ্যাক্টরী ৮ থেকে ৯ মাস বন্ধ থাকায় সে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং পুনরায় সে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকায় আসার পর সাভারে সে সোয়েটার গার্মেন্টসে চাকুরী নেয়। চাকুরীর সূত্র ধরে ইউসুফের সাথে তার পরিচয় হয়। ইউসুফের মাধ্যমেই আনোয়ার ও সাগরের সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের মাধ্যমে সে ছিনতাই চক্রে যোগ দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *