ঢাকা: খুলনা মডেলে গাজীপুরেও ‘নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। অাগামী জাতীয় নির্বাচনেও একই মডেল বাস্তবায়ন করা হতে পারে বলে সংগঠনটি আশংকা প্রকাশ করেছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও নিজস্ব স্বেচ্ছাব্রতীদের মতামতের ভিত্তিতে সুজন জানিয়েছে, খুলনার মতো গাজীপুরেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন সাময়িকভাবে কেন্দ্র দখল করে জালভোট প্রদান, ভোটকেন্দ্রে এবং এর আশেপাশে ভীতিকর ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং ভোট প্রদানে বাধা দানের ঘটনা ঘটেছে। খুলনার মতো গাজীপুরের নির্বাচনেও বহু অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানি ও বাড়াবাড়ির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, যা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন ছিল নির্বিকার। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সুজন গাজীপুরের ভোটের এ চিত্র তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় উচ্চ শিক্ষিতদের নির্বাচিত হওয়ার হার কিছুটা বেশি, যা ইতিবাচক। তবে অন্যান্য নির্বাচনের মতো গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিজয়ী জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নব-নির্বাচিত ৭১ জন জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৪৭ জনই ব্যবসায়ী।
সুজনের বিশ্লেষনে বলা হয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় মামলা সংশ্লিষ্টদের নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি। স্বল্প আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় কম হলেও অপেক্ষাকৃত অধিক আয়কারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি। এছাড়া ঋণগ্রহীতা ও কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত হওয়ার হার প্রতিদ্বন্দ্বিতার তুলনায় বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে গাজীপুর সিটিতে বিজয়ী প্রার্থীদের তথ্যের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার। এসময় সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হামিদা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।