গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ভাঙ্গারহাট পুলিশ নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই আলী আকবর, কনস্টেবল তুরাব আলী ও সোহেলের বিরুদ্ধে চুরি করা খাসিতে ভূরিভোজের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ জুন বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, তারা গত ২ জুন রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ারবাড়িতে নাইট ডিউটিতে যান। ওই বাজারের পাহারাদাররা পীড়ারবাড়ি গ্রামের রুহিদাস হালদারের খাসি বেঁধে রাখেন। পাহারাদারদের কাছ থেকে ওই খাসি পুলিশ তাদের থ্রি হুইলারে (মাহেন্দ্র) তুলে ভাঙ্গারহাট ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। পরে সুবিধামতো সময়ে সেখানে খাসিটি জবাই করে মাংস দিয়ে ভূরিভোজ করে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে মানসন্মানের ভয়ে পুলিশ একটি খাসি কিনে পীড়ারবাড়ী বাজার কমিটির সভাপতি নীতিশ হালদারের মাধ্যমে খাসির মালিক রুহিদাস হালদারকে জোর করে বুঝিয়ে দেয়। তবে খাসিটি তার নয় বলে তিনি তা গ্রহণ করেননি।
পরে বাজার কমিটি সালিশ বসিয়ে এ ঘটনায় বজারের পাহারাদার দুলাল হালদার, শংকর হালদার ও প্রসেনজিৎ বৈদ্যর বিরুদ্ধে খাসি চুরির অভিযোগ এনে তাদের ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা খাসির দাম হিসেবে মালিক রুহিদাস হালদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রুহিদাসকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রদান করা খাসিটি নীতিশের বাড়িতেই প্রতিপালিত হচ্ছে।
খাসির মালিক দিন মজুর রুহিদাস হালদার বলেন, গত ২ জুন রাতে আমার খাসিটি বাড়ি থেকে চুরি হয়ে যায়। এরপর এস.আই আলী আকবর জোর করে আমাদেরকে একটি খাসি গছিয়ে দেন। এটি আমার হারিয়ে যাওয়া খাসি ছিলো না। পরে বাজার কমিটির সভাপতি বাজারের পাহারাদারদের জরিমানা করে আমাকে হারিয়ে যাওয়া খাসির দাম বাবাদ ৪ হাজার টাকা দিয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই. আলী আকবর চুরি করা খাসিতে পুলিশের ভূরিভোজের অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলা’কে বলেন, আমরা ওই রাতে ডিউটিতে গিয়ে একটি খাসি গাড়িতে তুলে আনি। পরে ওই বাজারে রাতে একটি খাসি পাওয়া গেছে বলে প্রচার করি। কিছু দিনপর খাসির মালিক রুহিদাসকে খুঁজে পেয়ে তার কাছে বাজার কমিটির মাধ্যমে খাসিটি হস্তান্তর করি। আমরা খাসি জবাই করে খাইনি।