বলা হয়, স্বপ্ন না থাকলে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। হয়তো তাই।
কারণ স্বপ্নই মানুষকে সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাতে সাহায্য করে। তবে প্রতিটি মানুষের উচিত তাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে সেই অনুযায়ী কাজ ও পরিশ্রম করে যাওয়া। বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা কারো স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হতে পারে। নিচে তেমনই কয়েকটি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
বিকশিত মানসিকতা ধারণ করুন :
দুই ধরনের মানসিকতা ধারণ করেন সবাই। এক, স্থির মানসিকতা। অপর ধরনটি বিকশিত থাকে। স্থির মানসিকতার মানুষরা তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে একই পথে এগিয়ে যেতে চান। তবে বিকশিত মনের মানুষরা বিশ্বাস করেন, স্বপ্ন পূরণ হতে পারে চর্চার মাধ্যমে।
তারা স্বপ্ন পূরণ করতে ধীরে ধীরে উপায় খুঁজে বের করেন।
আত্মবিশ্বাসী হোন :
স্বপ্নের পথ পেলে তা পূরণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। কোন পথে এগোলে আপনার ভালো লাগে এবং আপনি আরো বেশি আত্মবিশ্বাস পান তা বুঝে নিন। প্রতিনিয়ত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। একে হাসিল করার সাহস ও শক্তি পুষে রাখুন। স্বপ্নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিন। স্বপ্ন পূরণ হবে, যতই ভাববেন ততই সাহসী হয়ে ওঠবেন।
তৃপ্তি পেতে সময় দিন :
প্রতিদিনই স্বপ্ন পূরণের কাজকে সবচেয়ে মূল্যায়ন করুন। ছোটখাটো কাজে সফলতা আসতে থাকবে। তবে আগেই উদ্বেলিত হয়ে পড়বেন না। এগুলো জমাতে থাকুন। সফলতাকে তৃপ্তিদায়ক করতে হলে সময় ব্যয় করতে হবে। পরীক্ষায় এ বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে। যা চাওয়া হয় তা সঙ্গে সঙ্গে পেলে তৃপ্তি আসে না। কিন্তু অপেক্ষার ফল সব সময় মিষ্টি হয়।
স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক তৈরি করুন :
জীবনটাকে স্বপ্নময় ও সুন্দর করতে হলে সম্পর্কে জড়াতে হবে। তবে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক হতে হবে। ১৯৩৮-১৯৪০ সালের মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৮ জন শিক্ষার্থীর ওপর একটি গবেষণা হয়। এতে দেখা যায়, সফলতা বলতে অন্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা মজবুত তার ওপর নির্ভর করে। কার কতো অর্থ আছে তার ওপর নয়।
তৃপ্তি উপভোগ করুন :
স্বপ্ন পূরণের পথে নানাভাবে সফলতা আসতে থাকবে। এগুলো আপানাকে তৃপ্তি দেবে। এই তৃপ্তিদায়ক পরিস্থিতি উপভোগ করুন। এতে করে বাকি পথ আরো সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যেতে পারবেন। কাজে-কর্মে মনোযোগ থাকবে।