বগুড়ায় বাড়ির বৈঠকখানা থেকে ৫৪ গোখরা সাপ নিধন

Slider গ্রাম বাংলা

202419_bangladesh_pratidin_bdp-sap

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের শিয়ালি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমানের বাড়ির বৈঠকখানা থেকে ৫৪টি বিষধর গোখরা সাপ নিধন করেছে গ্রামবাসী। শুক্রবার সকাল ৯টার সময় হাবিবুরের বাড়ির বাহিরের বৈঠকখানা থেকে সাপগুলো উদ্ধার করার পর মেরে ফেলা হয়।

জানা যায়, উপজেলার শিয়ালি গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমানের বাড়ির বাইরে একটি বৈঠকখানা রয়েছে। বড় আকরের বৈঠকখানার এক পাশে জ্বালানি খড়ি মাচা করে রাখা হয়েছে। তবে ঘরটি পরিস্কার পরিছন্ন ছিল না। এ সুযোগে সেখানে বিষধর গোখরা সাপ বাসা বাঁধে।

হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই ফরমান আলী বলেন, শুক্রবার সকালের দিকে তার বোন ফেন্সি খাতুন রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য ওই বৈঠকখানার পাশে রাখা জ্বালানি খড়ি নিতে গেলে সাপ সাপ বলে চিৎকার করে। এসময় সেখানে ছুটে গিয়ে সাপ দেখা যায়। পরে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে মুহূর্তের মধ্যে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এরপর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় বাড়ির লোকজন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর ঘরের কোনায় থাকা ইঁদুরের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসা ২টি বড় আকারের সাপ নিধন করে। সাপ ২টি প্রায় ৬ ফুট লম্বা।

বিষধর গোখরা সাপ নিধনে যোগ দেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। দুটি বড় গোখরা ছাড়াও বেশ কিছু ছোট ছোট গোখরা সাপ ছিল। সাপগুলো মারার পর গর্ত খুঁড়ে পাওয়া যায় আরো ৫২টি সাপের ডিম। এ সময় ডিমগুলোও ভেঙে ফেলা হয়।
এলাকাবাসী বলছে, বৈঠকখানায় ইঁদুরের গর্তে ঢুকে ডিম পেড়ে বাচ্চাগুলে ফুটিয়েছে মা গোখরা। বগুড়ার ধুনট উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, গাছপালা-জঙ্গল কমে যাওয়ায় এবং বর্ষা মৌসুমে সাপ উঁচু স্থানে আশ্রয় খোঁজে। বাড়ি-ঘর কিংবা উঁচু স্থানে তারা মাটির গর্তে আশ্রয় নিয়ে ডিম দিচ্ছে। এজন্যই মূলত এই সময় ঘরের মধ্যে ডিমসহ সাপগুলো পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সাপগুলো নিজেরা না মেরে সাপুড়েদের অথবা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে যোগাযোগ করে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ধুনটে এর আগে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে দু’দফায় ৫ শতাধিক গোখরো সাপ নিধন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *