গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের চেয়ে প্রাপ্ত ভোটে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাওয়া প্রাপ্ত ভোটের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে এমনটাই দেখা গেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্র ৪২৫টি। এর মধ্যে অনিয়ম ও ব্যালট লুটপাটের কারণে ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত আছে। এসব কেন্দ্রে মোটা ভোটার প্রায় ২৩ হাজার। প্রথম ও দ্বিতীয় হওয়া প্রার্থীদের ভোটের পার্থক্য ২৩ হাজারের কম হলেই কেবল এই কেন্দ্রগুলোতে মেয়র পদে পুনরায় ভোট হবে। তা না হলে এসব কেন্দ্রে কেবল কাউন্সিল পদের প্রার্থীদের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় মঙ্গলবার বিকেল ৪টায়। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রে ফল চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোটের ফল পাঠানো হচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। রিটার্নিং কর্মকতা একের পর এক কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর মেয়র পদে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করবেন।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে ২৫০টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নৌকা প্রতীক পেয়েছে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৯৭ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ ভোট।
অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান সরকার থেকে জাহাঙ্গীর আলম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪ ভোট বেশি পেয়েছেন।
একই সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে নৌকা পেয়েছে ৪২ হাজার ২২৮ ভোট। আর ধানের শীষ পেয়েছে ২৫ হাজার ৬৫৭ ভোট। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের ফলাফলেও ১৬ হাজার ৫৭১ ভোটে এগিয়ে আছেন জাহাঙ্গীর।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ভোটের তথ্যের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলই চূড়ান্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তাই বিজয়ী প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এরপর ফল পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে। সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মোট সাত জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।