বরিশালের হিজলায় স্ত্রী কুলসুম বেগম (২৪) হত্যার দায়ে স্বামী ইউসুফ সিকদারকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইবুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হিজলা উপজেলার মেমানিয়া গ্রামের কুলসুমকে ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে হিজলার ইন্দুরীয়া গ্রামের ইউসুফ সিকদার। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ২ লাখ টাকা ও তিনটি গরু ইউসুফকে দিয়েছিলেন তার শ্বশুর। বিয়ের কিছুদিন পর আরও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ইউসুফ। দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী কুলসুম বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারের চেষ্টা করে ইউসুফ। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ওই দিনই কুলসুমের বাবা ফারুক ফকির বাদি হয়ে ইউসুফসহ ৬ জনকে আসামি করে হিজলা থানায় হত্যা মামলা করেন।
একই বছরের ৯ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিজলা থানার এস আই আসাদুজ্জামান আসামি ইউসুফ সিকদারকে একমাত্র অভিযুক্ত করে এবং অন্য ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাদ দমন ট্রাইবুনালে ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
সন্দেহাতীতভাবে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ইউসুফ সিকদারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন ট্রাইবুনাল।